বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বের সুপার পাওয়ার বলা হয় আমেরিকাকে (America)। সবদিক থেকে শক্তিশালী দেশ এই মার্কিন সাম্রাজ্য। কিন্তু বর্তমান দিনে রাশিয়া এবং চীনের (China) ভয়ে কিছুটা হলেও গুটিয়ে রয়েছে বিশ্বের এই শক্তিমান দেশ। তাই ফিরে যাচ্ছে এক ৩০ বছর পুরনো কার্য পদ্ধতিতে।
খোলা হচ্ছে ৩০ বছরের পুরনো কারখানা
আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যেকার ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সাভানাহ নদীর তীরের কারখানাটিতেই পারমাণবিক অস্ত্র ট্রিটিয়াম এবং প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করেছিল আমেরিকা। প্রায় ২ লাখ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে এই বিশাল কারখানা। এই দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাভানা নদীর তীরে কারখানায় এবং নিউ মেক্সিকোয় লস আলমোসে আবারও তৈরি করা হবে পরমাণু হাতিয়ার। প্রায় ৩০ বছর ধরে বন্ধ থাকা কারখানা আবারও চালু করতে চলেছে ট্রাম্প সরকার।
চলছে অস্ত্র প্রস্তুতের কাজ
আমেরিকান সংস্থা ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে। এই সংস্থা স্থির করেছে, যেসকল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা আছে, তা অনেক পুরনো হয়ে গেছে। কাজেই সেগুলোর ক্ষমতা কমে গেছে। তাই আবার নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ গ্যালন তেজস্ক্রিয় তরল বর্জ্য ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে।
আমেরিকার পারমাণবিক ভাণ্ডার
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট অনুসারে,বর্তমানে আমেরিকার কাছে ৭৫৫০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ১৭৫০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে, যা ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধ বিমানে মোতায়েন রয়েছে। রাশিয়ার উপর নজর রাখার জন্য আরও ১৫০ টি পারমাণবিক বোমা ইউরোপে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৬৩৭৫ টি এবং চীনের পাশে ৩২০ টি পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।