বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এ যেন আগুনের (fire) ন্যায়, যা বর্ণনা করা কঠিন। যা বরফের মতো শীতল, যার দুরন্ত গতিবেগ। তার আলোর ঝলক কয়েক কিলোমিটার অবধি বিস্তৃত। আবার আছে দুটো লেজও। মহাশূন্যে একা, বিচ্ছিন্ন, সঙ্গীহীন হয়ে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের সৌরমণ্ডলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে দিনকয়েক আগেই।
সে যেন সূর্যকে নিজের আপন ভেবে এতদিন তার চারপাশেই পাক খাচ্ছিল। এখন তার নজরে পড়েছে পৃথিবীতে। তারই মায়ায় একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। যতই কাছে আসছে তার রূপের ছটায় ভরে উঠছে মহাকাশ। সে এক ধূমকেতু। পরিচয় সি/২০২০ এফ৩। নাম ‘নিওওয়াইস’ (NEOWISE) ।
সে যেন ডুমুরের ফুল, কালেভদ্রে দেখা দেয় তাকে। হুশ করে ভেসে আসে আবার ঠিকানা বদলে চলে যায় কোনও এক অজানার পথে। দূর তারামণ্ডল থেকে পথ হারিয়ে পৃথিবীর সৌরমণ্ডলের ঢুকে পড়ে বহু বছরে হয়ত একবার। যখনই তারা আসে সঙ্গে করে একরাশ বিস্ময় নিয়ে আসে। নাড়িয়ে দিয়ে যায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীমহলকে।
মে মাসেই ‘সোয়ান’ নামে এক ধূমকেতু দেখা দিয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর আকাশে। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেছিলেন ‘রাজহাঁস।’ এবার উত্তর গোলার্ধের আকাশজুড়ে রাজকীয় আলো ছড়িয়ে দেবে নিওওয়াইস। পৃথিবী থেকে এখন তার দূরত্ব মাত্র ২০ কোটি কিলোমিটার।
নিওওয়াইসের পরিধি ৩০ কিলোমিটারের কম। এর শরীর তৈরি হয়েছে পাথর, গ্যাস আর বরফ দিয়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের কাছাকাছি সৌরবায়ু ও তড়িদাহত সৌরকণাদের সংস্পর্শে এসে এই গ্যাস ও বরফ উবে গিয়ে নতুন পরিমণ্ডল তৈরি হয়েছে। দুটো লেজও গজিয়েছে যার একটি গ্যাসের ও অন্যটির ধুলোর।