বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে আবিষ্কারের জননী। সময়ে সময়ে মানুষের প্রয়োজন চরম শিখরে পৌঁছয়ে যায় তখন মানুষের আবিষ্কারের প্রবণতাও শিখরে পৌছাতে শুরু করে। এমনই ঘটনার উদাহরণ ভারতে অনেক আছে। এমন হরিয়ানার (Haryana) একজনের কাহিনী যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।
জানা গিয়েছে, দরিদ্রতার কারণে তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। সংসারের ভার কাঁধে তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বাধ্য হয়ে রিক্সা চালাতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার একটা দুঘটনায় তার পায়ের একটা বড় চোট পায়। তারপর তার পক্ষে রিক্সা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আর তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি একটি মেশিন তৈরি করবেন যা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করা যায়।
হরিয়ানার যমুনানগর জেলার দামলা গ্রামের বাসিন্দা ধর্মবীর কাম্বুজ কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি যে একদিন দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া এবং জাপানের মতো দেশেও তাঁর যন্ত্রটির চাহিদা থাকবে। এমনকি তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদেরও ধারণা ছিল না যে বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি পাস করা ধর্মবিরীর নাম উদ্ভাবকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ২০১২ সালে কৃষক বিজ্ঞানী পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এই মেশিনের সাহায্যে হরিতকী ও অ্যালোবেরার দিয়ে অনেক প্রোডাক্ট বানানো যেত। তা দেখে বিশ্ববাসী পুরো অবাক হয়ে গিয়েছিল।
হানি বি নেটওয়ার্কের সহায়তায় ধর্মবীর তার মেশিনটি কিছুটা সংশোধন করেছিলেন এবং বিভিন্ন আকারের পাঁচটি মডেল তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে বৃহত্তম আকারের মেশিনের দাম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সবচেয়ে ছোট আকারের মেশিনটির দাম ৪৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাকি তিনটি মডেলের দাম যথাক্রমে ১ লাখ ২৫ হাজার, ৮০ হাজার এবং ৫৫ হাজার টাকা।
২০০৯ সালে, জাতীয় উদ্ভাবন ফাউন্ডেশন তাকে সম্মানিত করে। এর পরে, যখন তাকে নিয়ে বহু সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়, তখন মেশিনটির জন্য সারা দেশ থেকে মেশনটি কিনতে সবাই আগ্রহী হয়।