বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ব্যাংকের লকারকে (Bank locker) সকলেই খুব সুরক্ষিত বলে মনে করে। কিন্তু রাজস্থানের (Rajasthan) এক ব্যক্তি ব্যাংকের লকারকে সুরক্ষিত মনে করে আজ প্রভূত লোকসানের মুখোমুখী হয়েছেন। ব্যাংকের লকারে অনেক ব্যক্তিই তাঁদের গচ্ছিত সম্পদ রেখে আসেন। তাঁর জন্য ব্যাংকে বেশ একটা মোটা অংকের অর্থ জমাও রাখতে হয়। তাও দিনের শেষে মানুষজন নিজের ঘরের থেকে ব্যাংকের লকারকেই বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন।
ব্যাংকের লকার বিভ্রাট
সিনেমার পর্দায় অনেক সময়ই দেখা গেছে এই ব্যাংকের লকার ভেঙ্গে চোর সমস্ত কিছু ছুরি করে নিয়ে যাচ্ছ। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ ভরসা করেই সেখানে তাঁদের অর্জিত সম্পদ জমা রাখে। কিন্তু নিজের উপার্জিত ধন জমা রেখে, কয়েক বছর পর ব্যাংকের লকার খুলে তাজ্জব বনে গেল রাজস্থানের এক ব্যবসায়ী।
সোনার বদলে এগুলো কি?
রাজস্থানের জালোর জেলার এসবিআই ব্যাংকে পার্সমাল জৈন নামক এক ব্যক্তি প্রায় ৪০ লাখের সোনার গহনা রেখেছিলেন। ব্যবসার কাজে তিনি বেশিরভাগ সময় মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দিতেই থাকেন। তবে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে তিনি ২০ দিন আগেই আবার নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন।
বাড়ি ফিরে ব্যাংকে রাখা গচ্ছিত ধন চোখের দেখা দেখতে গিয়েই, হতবাক হয়ে না ওই ব্যবসায়ী। ব্যাংকের লকার খুলতেই দেখা যায়, সোনা কোথায়? এখানে তো কয়েকটি পাথর রয়েছে। প্রায় ৮০০ গ্রাম সোনার গহনার বদলে শুধুমাত্র পাথর রয়েছে সেখানে। এই আশ্চর্য জনক ঘটনার ভেঙ্গে পড়েন তিনি। ঘটনার সুবিচারের আশায় তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি মামলায় দায়ের করেছেন।