বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্ব চীনকে (China) দোষারোপ করছে। এই অবস্থায় বেগতিক দেখে চীন সরকার ভারতের (India) সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পরে। চীনের এই সিদ্ধান্ত যে তাঁদের উপরেই প্রবল আঘাত হানবে, তা প্রথমে ঠাহর করতে পারেনি চীন সরকার। এক এক করে বিশ্বে প্রায় সব দেশই চীনের বিরুদ্ধাচারণ করতে শুরু করে দিয়েছে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ
বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর এবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনি দূতাবাসের বাইরে ভারতীয় আমেরিকান নাগরিকরা বিক্ষভে সামিল হল। সীমান্ত অঞ্চলে ভারতীয় নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাল।
শোনা গেল চীন বিরোধী শ্লোগান
চীনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে, প্লাকার্ড লিখে নিজেদের ক্ষোভ উগ্রে দিলেন নাগরিকরা। সেইসঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পতনেরও শ্লোগান দিলেন তারা। তাঁদের কন্ঠে শোনা গেল, চীনের এই মারণ ভাইরাসের ফলে সমগ্র বিশ্বের জনজীবনের সাথে সাথে অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চীন ভারত এবং বিভিন্ন ছোট দেশের উপর বিনা কারণে দাদাগিরি দেখাচ্ছে। জমি দখলের লড়াইয়ে মেতেছে চীন।
প্রতিবাদ জানাল চীনের বিরুদ্ধে
করোনা সতর্কীকরণ মান্য করেই মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করেই চলল এই বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেইসঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, ভারতের ২০ জন জওয়ানের বিনা কারণে হত্যার প্রতিবাদে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অনুরোধ করব, আর্থিক দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করে চীনকে বহিস্কার করা উচিত।
কোণঠাসা চীন সরকার
সীমান্ত এলাকায় চীনের ধোঁকাবাজির যোগ্য জবাব দিতে এবং সেই সঙ্গে কূটনৈতিক চালও চেলেছে ভারত। ভারতীয় প্রধানরা বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্ত হয়ে চীনের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। পূর্বেও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন নিম্নমানের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসাদ্রব্য বিভিন্ন দেশকে রপ্তানি করে চীন ক্ষোভের স্বীকার হয়েছে। আর বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের জেরে পুরোপুরি কোণঠাসা হচ্ছে চীন সরকার।