লকডাউনের দরুণ বন্ধ হয়েছে প্র্যাকটিস, রাস্তায় ফল বিক্রি করছেন মেডেল বিজেতা খেলোয়াড়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার জেরে দিল্লী (Delhi) থেকে উঠে এল এক করুন চিত্র। করোনার জেরে জারী হওয়া লকডাউনে (Lockdown) কর্মসংস্থান হারিয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকে তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অপারক হয়ে, এই দুর্দিনে ধরে নিয়েছে পরিবারের হাল। স্বপ্নের দরজার তালা লাগিয়ে, যেভাবে হোক অর্থ উপার্জনের পথে নেমে পড়েছেন।

করোনার জেরে খেলোয়াড় রাস্তায়
দিল্লীর মহিপালপুরের বাসিন্দা এশিয়ান যুব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্ত আলি আনসারীর (Ali Ansari ) অবস্থাও বর্তমান দিনে খুবই শোচনীয়। লকডাউনে সবকিছুই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিবারের আয় থেকে শুরু করে, তাঁর ট্রেনিং সমস্ত কিছুই কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। দেশের কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ খেলোয়াড় আজকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করছে।

ali 2

ধরেছে বাবার দোকানের হাল
আলি আনসারী জানিয়েছে, ‘লকডাউনে আমার প্র্যাকটিস বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংকটের পরিস্থিতিতে সংসার আর্থিক দিক থেকেই বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই বাবাকে সাহায্য করতে তাঁর দোকানে আমিও বসছি। ফল কিনতে আসা লোকেরা আমাকে ফলওয়ালা বলে ডাকে। কিন্তু কি করব, পেটের দায়ে পরিবারেকে সাহায্য করতে এই কাজ করতে হচ্ছে’।

ট্রেনিং সেন্টারে কমছে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাও
করোনার কারণে আলি আনসারী ছাড়াও বহু প্রতিভাবান দেশের ছেলে মেয়েরা তাঁদের স্বপ্নকে ভুলে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। পরিবারের মানুষদের স্বার্থে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে। এই অবস্থায় এক প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে ট্রেনিং সেন্টারে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। অনেক ছেলে মেয়েরাই আছে যারা, বহু দূরের গ্রাম থেকে শহরে প্রশিক্ষণ নিতে আসে। কিন্তু যান চলাচল স্বাভাবিক না থাকায়, এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বাসের ভাড়া হওয়ায় তারা আসতে পারছে না। সাংসারিক এই প্রতিকূলতার মধ্যে অনেকে আবার খেলাও ছেড়ে দিচ্ছেন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর