বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলকে ঢেলে সাজাতে এবং দুর্নীতিবাজদের দূর করতে রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress)। নতুন কমিটিতে সবথেকে বড় চমক হল একদা সিপিএম-এর রাজ্য সভার সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জী আর একদা জঙ্গলমহলে সিপিএম-এর কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা ছত্রধর মাহাতো। মমতা ব্যানার্জীর একুশে জুলাইয়ের সভার একদিন পরেই তৃণমূলে বড়সড় জায়গা করে নিলেন লালগড়ের ছত্রধর মাহাতো আর সিপিএম-এর প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জী।
২০০৯ সালে তৎকালীন সিপিএম সরকারের আমলে মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার দায়ে গ্রেফতার হতে হয়েছিল জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতোকে। কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১০ বছর জেলে কাটাতে হয় ওনাকে। ২০১৯ এ ছাড়া পাওয়ার কথা থাকলেও ছাড়া পাননি তিনি। কারণ ঘাটশিলার অন্য একটি মামলায় তাঁকে বন্দি অবস্থায় থাকতে হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সরকারের পতনের পর মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
ছত্রধর মাহাতোকে এতবড় পদ দেওয়ার প্রধান কারণ হল জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঘাঁটি আবার শক্ত করা। ২০১৯ এর ভোটে জঙ্গলমহলে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তৃণমূল। এরপর থেকেই জঙ্গলমহলকে আবারও দখল করার জন্য একের পর এক বৈঠক চলে দলের অন্দরে। সর্বশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জঙ্গলমহলকে গেরুয়া থেকে নীল সাদা করার দায়িত্ব ছত্রধরকে দিতে হবে।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তৃণমূলের বেশি কয়েকটি মিটিংয়ে দেখা গিয়েছিল ছত্রধরকে। আশা ছিল এবারের ২১ এ জুলাইয়ের সভাতেও ওনাকে দেখা যাবে। কিন্তু, বাঁধ সাধল করোনা। কোভিডের কারণে দেশজুড়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে এবারের সভা ভার্চুয়াল ভাবেই পালিত করতে হয় তৃণমূলকে। আর সভার শেষে সেদিন মমতা ব্যানার্জী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বড়সড় কিছু একটা ঘটতে চলেছে। আর সেই ইঙ্গিত এবার রাজ্য কমিটিতে দেখা গেলো।