সারি সারি থাম, স্বচ্ছ জল, স্ফটিকের কারুকার্য; এই মোহময়ী গুহার সৌন্দর্য রাজপ্রাসাদকেও হার মানাবে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিখুঁত  কারুকার্য আর সুন্দরতায় প্রকৃতির কাছে মানুষ যে নেহাতই ছেলেমানুষ তার আরো একটি প্রমান এই গুহা, যা যে কোনো রাজপ্রাসাদকে হেলায় হারিয়ে দেবে

images 2020 07 25T191247.366

সারি সারি থাম, স্ফটিকের কারুকার্য, স্বচ্ছ নীল জল না কোনো রাজ প্রসাদের বিবরণ নয়। এগুলো সবই আসলে এক গুহার অঙ্গ। তাও ছোট খাটো নয় এই গুহার গভীরতা ৫০০ মিটারের বেশী গভীর, দৈর্ঘ্য প্রায় ২২২ মিটার। আসুন জেনে নি আমেরিকার রহস্যময় গুহা লেচুগুইলা সম্পর্কে

images 2020 07 25T191508.631

লেচুগুইলা কয়েক দশক আগে পর্যন্ত ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। ১৯৮৬ সালে এক অভিযাত্রী দল আমেরিকার এই গুহাটি আবিষ্কার করে। এবং তারাই এই গুহার নাম দেন লেচুগুইলা। এটি দৈর্ঘ্যের দিক থেকে পৃথিবীতে অষ্টম এবং দ্বিতীয় গভীরতম গুহার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

images 2020 07 25T191356.977

তবে দৈর্ঘ্য বা গভীরতা শুনে যতখানি ভয় লাগছে গুহার ভিতরের সৌন্দর্য তার চেয়েও বেশী অবাক করবে। গুহার ভিতরটি তৈরি সারি সারি চুনাপাথরের স্তম্ভ। যেগুলোর কোনোটাই মানুষ তৈরি করেনি।

images 2020 07 25T191333.464

এই গুহার ভিতরে পৌঁছাতে পারে না কোনো সূর্যের আলো কিন্তু প্রকৃতি নিপুন হাতে সাজিয়ে তুলেছেন এর অন্দরমহল। গুহায় প্রায় সর্বত্রই অসাধারণ সুন্দর স্ফটিক চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। যেগুলি প্রাকৃতিক ভাবে জিপসাম দিয়ে তৈরি।

images 2020 07 25T191306.889

কিন্তু কিভাবে হল এই অনন্য সুন্দর অন্দরমহল? জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর বেশীরভাগ গুহা যেখানে বৃষ্টির জলে ক্ষয় প্রাপ্ত হয় সেখানে চুনাপাথরের গুহা ক্ষয় হয় সালফিউরিক অ্যাসিডে। আর চুন আরসালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় গুহার ভিতরে তৈরি হয় জিপসামের কেলাস। আর এভাবেই তৈরি হয়েছে লেচুগুইলা গুহাটিও।

 


সম্পর্কিত খবর