হাসপাতালে লালুর জন্য সংরক্ষিত ১৮ টি কামরা, ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাঁচির RIMS হাসপাতালে পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (Rashtriya Janata Dal) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav ) প্রভাব বজায় আছে। উনি আপাতত রাঁচির জেলে সাজা কাটছেন, কিন্তু ওনার দখলে রিমসের ১৮ টি পেয়িং ওয়ার্ড আছে। শোনা যাচ্ছে যে, লালুকে করোনা থেকে বাঁচাতে রিমস-এ ভিভিআইপি ব্যবস্থা করানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রীয় জনতা দল মহাজোটের সরকারের সাথে যুক্ত আছে।

lalu

আরেকদিকে, হাসপাতালে বেড না থাকার অজুহাত দিয়ে করোনা সংক্রমিত রোগীদের অন্য হাসপাতালে শিফট করানো হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, লালু প্রসাদ যাদব রাঁচির জেলে বন্দি থাকলেও, উনি প্রথম থেকেই চিকিৎসার অজুহাত দিয়ে রিমস হাসপাতালে আছেন। সাজা ঘোষণার পরেই ওনার মধ্যে অনেক রোগ পাওয়া যায়, আর সেই কারণে উনি হাসপাতালে চিকিৎসারত।

ঝাড়খণ্ডে করোনার মামলা দিনদিন বেড়েই চলেছে, আর হাসপাতালে বেড না থাকার জন্য রোগীদের বাধ্যতামূলক মাটিতে বিছানা পেতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর এই সঙ্কটের সময়ে বিরোধী দল গুলো প্রশ্ন তুলছে যে, এই মহামারীর সময় পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু প্রসাদ যাদব যদি শাসক দলের জোটের সাথে যুক্ত না হয়ে কোন সাধারণ বন্দি হতেন, তাহলেও কি রিমসে ওনার এরকমই চিকিৎসা চলত? কিন্তু এই মহামারীর সময় হেমন্ত সোরেন সরকার অকারণে হাসপাতালের ১৮ টি কামরা দখল করে রেখে দিয়েছে। বিজেপির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে একটি চিঠিও লিখেছেন।

মারান্ডি চিঠি লেখার পর সেই চিঠির ছবি মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়কে ট্যাগ করে টুইটে লেখেন, ‘রিমসে অকারণে ১৮ টি কামরা দখল করার খবর পাওয়া গেছে। করোনার মতো কঠিন পরিস্থিতিতে এরকম অমানবিক কাজ বোধগম্যতার বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির কাছে আমরা এই বিষয়ে তৎকাল পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছি।”

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর