বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশব্যাপী লকডাউন (lockdown) শুরু হওয়ার সময় থেকেই তালা পড়েছে সিনেমাহলগুলিতে (cinema hall)। সামাজিক দূরত্ব মেনে রেস্তোরাঁ খোলা গেলেও সিনেমাহলগুলি দীর্ঘ চার মাস ধরে বন্ধই পড়ে রয়েছে। অবশ্য এতদিন ধরে বিনোদন জগতের সব কর্মকাণ্ডই স্তব্ধ হয়ে ছিল। এখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে বলি থেকে টলি।
সুরক্ষার বিধিনিষেধ মেনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ধারাবাহিকের শুটিং। এর পর ছবিরও শুটিং শুরু করবার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলিউডে। এমন অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সিনেমাহলগুলি খুলে দেওয়ার আবেদন রাখল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আবেদন জানানো হয়েছে অগাস্ট মাসের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে।
খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিনোদন পাড়ায়। এখন যেখানে OTT প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই সেখানে এমন একটা খবর নিঃসন্দেহে এক ঝলক খুশির হাওয়া নিয়ে এসেছে বিনোদন জগতে। তবে দেশের যা বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সেকথা মাথায় রেখে সিনেমাহলগুলি খুলতে গেলে মেনে চলতে হবে একাধিক বিধি নিষেধ। সে সমস্ত পালন করে সিনেমাহল এখনই খোলা সম্ভব কিনা সে বিষয়েই উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল দিওয়ালিতে মুক্তি পেতে চলেছে সূর্যবংশী ও বড়দিনে মুক্তি পাবে ৮৩। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নয়, বরং প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পাবে এই দুটি ছবি। ছবি মুক্তির খবর ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই অনুরাগীদের খুশির ঢল নামে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে খুশির ঝলক দেখা যায় সিনেমাহল ও মাল্টিপ্লেক্সের মালিকদের মুখেও।
এই দুটি ছবি মুক্তির খবরেই আশা করা যাচ্ছিল শীঘ্রই খুলতে পারে প্রেক্ষাগৃহের দরজা। কিন্তু সূর্যবংশী ও ৮৩ এর পরিচালকেরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ছবিদুটি যখনই মুক্তি পাক না কেন, প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পাবে। উল্লেখ্য, প্রথমে ঠিক হয়েছিল ২৪ মার্চ মুক্তি পাবে সূর্যবংশী। রণবীর সিং দীপিকা পাডুকোন অভিনীত ৮৩ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১০ এপ্রিল। কিন্তু লকডাউনের কারনে দুটি ছবির মুক্তিই পিছিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, সূর্যবংশী ও ৮৩ এই দুটি ছবিই প্রথম বলিউড ছবি যা লকডাউনের পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে। সম্প্রতি ২৪ জুলাই OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পায় সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’।