বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) মানালির বাড়ির সামনে চলল গুলি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ অভিনেত্রীর শোবার ঘরের ঠিক সামনে গুলির আওয়াজ শোনা যায় বলে অভিযোগ। কঙ্গনার বক্তব্য, তাঁর মুখ খোলার জন্য এভাবে ভয় দেখানো হয়েছে তাঁকে।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মানালির বাড়িতে নিজের শোবার ঘরে ছিলেন তিনি। তখনই গুলির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। আট সেকেন্ডের মধ্যে ২ বার গুলির আওয়াজ শোনা যায়। তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তরক্ষীকে বিষয়টি দেখতে বলেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনার কথায়, “আমার শোবার ঘরের বাইরে পাঁচিলের ওপারেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। আমার ঘরের বাইরে একটি আপেল বাগান ও সুইমিং পুল রয়েছে। তারপরেই পাঁচিল।” তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্যই এমনটা হয়েছে। এর আগে ওই জায়গায় এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলেও জানান কঙ্গনা।
তিনি বলেন, “গুলির আওয়াজ একা আমি না, আরও অনেকেই শুনেছে। সম্ভবত আমাকে ভয় দেখাতে স্থানীয় গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়েছিল। ৭-৮ হাজার টাকা দিলেই এদের ভাড়া করা যায়। আমার মনে হয় এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। মুখমন্ত্রীর ছেলের সম্পর্কে বলেছিলাম। আমাকে সবাই বলছে মুম্বইতে এরা আমার জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলবে। এদেশে কি এভাবেই গুন্ডারাজ চলে? সুশান্তকেও তাহলে এভাবেই ভয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাও আমি বলা থামাবো না।”
প্রসঙ্গত, এর আগে জানা গিয়েছিল সুশান্তের মৃত্যুর আগের রাতের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন এক রাজনৈতিক নেতার ছেলে। যে কারনে মুম্বই পুলিস তদন্তে ঢিলে দিতে পারে বলে সন্দেহ করছে বিহার পুলিস। খবর অনুযায়ী, ওই রাজনৈতিক নেতার ছেলে সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে আসার আগে থেকেই কাজ করা বন্ধ করে দেয় সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি।
এই প্রসঙ্গে বড়সড় ঘোষনা করেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। অভিনেত্রীর ডিজিটাল টিমের মাধ্যমে টুইটারে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম না নিয়ে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘সবাই ওঁর নাম জানে কিন্তু কেউ সেই নাম উচ্চারণ করবে না। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এবং করন জোহরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সবাই তাঁকে বেবি পেঙ্গুইন বলে ডাকে। কঙ্গনা বলছেন, এবার যদি তাঁকে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাহলে বুঝবেন তিনি আত্মহত্যা করেননি।’