বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান মানুষের এই তিন প্রাথমিক চাহিদা চিরকালের। সভ্যতার আদিম যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এই চাহিদার কোনো বাত্যয় ঘটেনি। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরও আমাদের দেশের একটা বড় অংশের মানুষ খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের সংস্থান নেই৷ আর এই খেতে না পাওয়া গরীব গুর্বো মানুষগুলোর কাছে ভগবান অনুপ খান্না (anup khanna)।
অনুপ খান্না কোনো বিরাট সেলিব্রিটি নন। চালান না কোনো বড় মাপের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। একান্তই নিজের চেষ্টায় রাজধানী দিল্লির উপকন্ঠে মাত্র ৫ টাকায় তিনি ভরপেট খেতে দেন মানুষকে। তার ‘দাদি কি রসুই’ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ জন মানুষ খাবার খান মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে। নয়ডা সেক্টর ২৯ এর গঙ্গা শপিং মলের কাছে প্রতিদিন দেখা পাওয়া যেত তার।
যদিও করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তাহে ৭ দিনের বদলে ৫ দিন এই সেবা করছেন তিনি। শনি ও রবিবার লকডাউনের কারনে তিনি চালাতে পারছেন না তার স্বপ্নের ‘দাদি কি রসুই’।
অনুপ জানিয়েছেন, ফ্রিতে খাওয়ানোর সামর্থ্য থাকলেও তিনি ৫ টাকা প্রতি খাবারে নেন৷ কারন এতে যিনি খেতে আসেন তার আত্মসম্মানে কোনো আঘাত লাগে না। একই নিয়ম প্রযোজ্য কাপড় ও ওষুধের ক্ষেত্রেও৷ মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে পছন্দ মতো কাপড় বা প্রয়োজন মতো ওষুধ নিতে পারে যে কোনো মানুষ।
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে অনুপের কাজ৷ গত নতুন বছরের দিনটতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আরো ৭ জনের সাথে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাকেও। প্রসঙ্গত, নববর্ষের দিনটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় কাজের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের সাথে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি।