বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হিন্দু (hindu) রীতি অনুসারে যে কোনো শুভ কর্মের শুরুতে সবার প্রথমে গনেশের (ganesh) পুজো করা হয়। তিনি সিদ্ধিদাতা। পার্বতী নন্দনের কল্যানময় হস্ত যার মাথায় থাকে, তিনি সমস্ত বিপদ থেকে উদ্ধার পান। পুরাণের বর্ণনা অনুসারে গনেশের মাথা হাতির মত। একটি দাঁত নেই বলে তাকে একদন্তও বলা হয়ে থাকে। এই একদন্ত সংক্রান্ত এক রহস্যময় মন্দির সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাতে যাচ্ছি।
পুরাণ অনুসারে, গনেশ ও পরশুরামের একবার ভয়ানক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে পরশুরামের কুঠারের আঘাতে গজমুখ পার্বতী নন্দনের একটি দাঁত ভেঙে যায়। জন শ্রুতি অনুসারে, ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াদের বাইলাদিলার ধোলাকাল পাহাড়েই এই যুদ্ধ হয়েছিল। এই পাহাড়ের শৃঙ্গেই রয়েছে এক আশ্চর্য গনেশ মন্দির।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঢোলাকাল পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ৩০০০ ফুট। এরই চূড়ায় অবস্থান করছেন একদান্ত গণপতি৷ প্রসঙ্গত, এখানে কোনো মন্দির নেই। খোলা আকাশের নীচে হাজার বছর ধরে এখানে ভক্তের বিঘ্ন হরণ করছেন বিঘ্ননাশক।
এই চূড়াটি দেখতে অনেকটা ঢোলকের মত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন একে ঢোলাকাল পাহাড় বলে। এই পাহাড়ের নাম অনুসারেই এই গনেশের নাম ঢোলাকাল গনেশ। বলা হয়, চিন্ডক নাগাবংশী রাজাগণ পাহাড়ে গণেশের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন।
বিশ্বাস করা হয় যে এখানে একাদশ শতাব্দীতে বিশাল গণেশের মূর্তি নির্মিত হয়েছিল। তবে গণেশের মূর্তি এত উচ্চতায় কীভাবে পৌঁছেছিল? এ সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা যায়নি।
এখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা একাদান্ত গণেশকে তাদের রক্ষাকারী হিসাবে বিবেচনা করে এবং এখানকার লোকেরা তাঁকে কেবল একজন রক্ষক হিসাবে পূজা করে। স্থানীয়দের থেকে জানা যায় যে, পার্বতী এবং সূর্য দেবের প্রতিমাও এই শৃঙ্গের নিকটে অবস্থিত দ্বিতীয় চূড়ায় অবস্থিত ছিল, তবে এটি প্রায় 15 বছর আগে চুরি হয়ে গেছে।
এই গনেশ মূর্তি পর্যন্ত পৌঁছনোর পথটি অত্যন্ত কঠিন কারণ বন্য প্রাণীদের আক্রমণের ভয় রয়েছে, তবে বিশ্বাস করা হয় একাদান্ত গণেশ জিৎ দেখতে যাওয়া ভক্তের দ্বারা কোনও বন্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।