বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেক পর্যায়ের শান্তি বৈঠকের পরেও চীন (China) লাদাখ (Ladakh) থেকে পিছু হটার জন্য প্রস্তুত না। যদিও এখনো ভারত (India) আর চীনের মধ্যে বৈঠক জারি আছে। কিন্তু ভারতের চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, চীন যদি কথা না শোনে তাহলে আমাদের কাছে সামরিক বিকল্প মজুত আছে। আর চীন এরমধ্যে সীমান্তে হাতিয়ার আর জওয়ানদের মজুত করে ভারতের উপরে চাপ সৃষ্টির কাজ করছে।
যদিও বিশ্বের শক্তিশালী দেশ আমেরিকা (United States) চীনের এই বিস্তারবাদি নীতিতে কড়া নজর লাগিয়ে বসে আছে। আর তাঁরা এর আগেই ড্রাগনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে যে, ভারতকে উস্কালে ফল ভুগতে হবে। এবার খবর আসছে যে, চীনের অহংকারকে চূর্ণ চূর্ণ করতে ভারতকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিতে তৈরি হয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া সামরিক বেসে দুটি B-2 বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে।
পরমাণু হাতিয়ার যুক্ত এই বিমান বিশ্বের নবীনতম এবং সবথেকে ঘাতক বিমানের মধ্যে একত। এই বিমানকে শত্রুপক্ষের র্যাডার ধরতেই পারবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই পদক্ষেপ ভারতের জমি থেকে চীনকে পিছু হটানোর জন্যই নেওয়া হয়েছে।
আরেকদিকে ভারতীয় নৌসেনা চীনের সাথে বেড়ে চলা বিবাদের কথা মাথায় রেখে ভারত মহাসাগরে সামরিক জাহাজ মোতায়েন করেছে। এর সাথে সাথে ভারতীয় নৌসেনা গত মাসে আন্দামান আর নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পাসে আমেরিকা এবং জাপানের নৌসেনার সাথে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। এই মহড়ায় আমেরিকা সবথেকে শক্তিশালী পরমাণু জাহাজ অংশ নিয়েছিল। ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস রানা আর আইএনএস কুলিশ এই মহড়ায় অংশ নেয়।
জাপানের দুটি জাহাজ জেএস কাশিমা আর জেএস শিমাইয়ুকি এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। এই মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে নৌসেনার সমন্বয় আর সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও ভারতীয় নৌসেনা এর আগে অস্ট্রেলিয়া আর ফ্রান্সের সাথে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। লাদাখে চীন আর ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হওয়ার পর চীনকে শিক্ষা দিতেই সব দেশগুলো ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।