বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একসময় ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (mithun Chakroborthy) সাথে চুটিয়ে কাজ করেছেন, বিখ্যাত টি সিরিজ থেকে বেরিয়েছে একের পর এক ক্যাসেট, মঞ্চে হাসির সুলতান; কিন্তু করোনাকালে এসবই এখন অতীত। হাসির দুনিয়ার যাদুকর বিভাস সুর (bivas sur) এখন পেটের দায়ে এক বেসরকারি অফিসে নাইট শিফটে কাজ করেন।
একের পর এক শো, দেদার টাকা – সব কিছুই ছিল বিভাসের। জানা যায় একাধিক শো করতেন একই দিনে। প্রতিটি শোতেই হয়ে উঠতেন মধ্যমনি। তার কথায় হাসির স্রোত বইত দর্শক মহলে। জনপ্রিয়তা এতখানি ছিল এক দিনে ১২ টা শো পর্যন্ত করেছেন। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত টানা হাসিয়েছেন মানুষকে।
অথচ হাসির দুনিয়ার এই মানুষটির মুখ থেকেই হাসি কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। বলা ভালো করোনা মহামারি। ঘরে অসুস্থ স্ত্রী, যার দুটি কিডনিই বিকল। সেই চিকিৎসার খরচ জোগাতেই মঞ্চের কমেডিয়ানকে নিতে হয়েছে বেসরকারি এক সংস্থার নাইট শিফটের সুপারভাইজারের দ্বায়িত্ব। আয় মাত্র ৭ হাজার। এক সময় যার কয়েকগুন তিনি আয় করতেন প্রতিদিন৷
টি সিরিজের প্রয়াত কর্ণধার গুলশন কুমার তার ভক্ত ছিলেন। কথা দিয়েছিলেন টি সিরিজ থেকেই তিনি বের করবেন তার ক্যাসেট। ১৯৮০ থেকে ৯১, ১১ বছরের সময়কালে একটা দুটো নয় তার মোট ১৭ টা ক্যাসেট বেরিয়েছিল টি সিরিজ থেকে।
মঞ্চ, শো, যাত্রাতেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। কলকাতার বিখ্যাত চিৎপুর যাত্রাপালার তিনি ছিলেন পোস্টার বয়। এক সাথে একাধিক যাত্রা কোম্পানির সাথে হয়েছেন চুক্তিবদ্ধ। চষে বেরিয়েছেন রাজ্যের একের পর এক জেলা৷ কিন্তু করোনা সে সব কেড়ে নিয়েছেন তার জীবন থেকে। করোনার সর্বনেশে মুখ থেকে হাসিটুকুই মিলিয়ে যাওয়ার উপক্রম এই কমেডিয়ানের।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!