বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় পরিচালক মহেশ ভাটের (mahesh bhatt) নাম উঠে আসায় প্রকাশ্যে আসছে নানা বিতর্কিত বিষয়। মহেশ ভাটের পাশাপাশি তাঁর দুই মেয়ে পূজা ভাট ও আলিয়া ভাটও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। কিন্তু মহেশ ভাটের এক ছেলেও রয়েছে, রাহুল ভাট (rahul bhatt)। কিন্তু তাঁর উপরে তেমন ভাবে লাইমলাইট পড়েনি।
তবে এবার এক পুরনো সাক্ষাৎকারের জন্য চর্চায় উঠে এসেছেন রাহুল ভাট। বাবা মহেশ ভাটের সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিষ্ফোরক তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। রাহুল জানান, বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে কোনওদিনই তাঁর ভাল সম্পর্ক ছিল না। তাঁকে নিজের ছেলে বলেও মনে করতেন না বলে দাবি করেন রাহুল। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও দাবি করেন, মহেশ ভাট যদি সত্যিই তাঁর সঙ্গে বাবার মতো আচরণ করতেন তাহলে তিনি হেডলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন না। উল্লেখ্য, এই হেডলি মুম্বই বিষ্ফোরনের প্রধান ছিলেন।
রাহুলের কথায়, “ছোটবেলায় বাবার সঙ্গ না পাওয়া, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা এতটাই চেপে বসেছিল আমায মনের উপর যে হেডলি খুব সহজেই আমার আত্মবিশ্বাসকে হারিয়ে দিত। বড় হওয়ার সময়টায় বাবাকে পাইনি আমি। আমাকে চিরদিন অবাঞ্ছিত, অবৈধ সন্তান হিসাবে দেখেছেন উনি।”
রাহুল জানান, সেই সব তিক্ত অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও শক্ত করে তোলে। তিনি বলেন, “আমি খারাপ নই। বরং মিস্টার ভাটের ব্যবহার আমাকে মনের দিক থেকে আরও ভাল করে তুলেছে। কথায় বলে, যা আপনাকে মারতে পারে না তা আরও শক্তিশালী করে দেয়।”
রাহুল আরও বলেন, “ছোট থেকে আমার মধ্যে যে রাগ, ক্ষোভ জমা হয়েছিল হেডলি সেটা খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারত। এটাই আমাকে বিব্রত করে। আমার মনে হয় আসল ক্ষতি থেকে আমি বেঁচে গিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, অনেকেই জানেন মহেশ ভাটের প্রথম পক্ষের ছেলে রাহুল ভাটের (rahul bhatt) সঙ্গে ২৬/১১র মুম্বই হামলার (mumbai attack) যোগ ছিল। জানা যায়, সেই যোগাযোগ এতটাই গভীর ছিল যে ২০০৮ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখ অর্থাৎ জঙ্গি হামলার দিন রাহুলকে দক্ষিণ মুম্বইয়ের দিকে যেতে বারন করেছিলেন হেডলি।
জানা যায়, একটি জিমে হেডলির সঙ্গে আলাপ রাহুলের। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে যোগাযোগ। তবে রাহুল বলেন, প্রায় ন দশবার হেডলির সঙ্গে দেখা করলেও নিজের বাড়িতে বা অন্য কোথাও তাঁকে নিয়ে যাননি তিনি।
রাহুল ভাট তখন সাফ জানান, মুম্বই হামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি তিনি যে হেডলিকে চেনেন তাঁর সঙ্গে মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত টিভিতে দেখানো হেডলির কোনও মিল নেই বলেও জানান রাহুল। এরপরেই পুলিস তাঁকে ক্লিনচিট দেয়।
তবে জানা যায়, হেডলির বেশ কিছু ইমেলে রাহুলের নাম উঠে এসেছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘রাহুলকে দেখে ভাল আইডিয়া পেয়েছি। তোমরা ওখানে কাজ করতে পার। প্ল্যানমাফিক এগিয়ে যাও।’