বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে লাদাখের বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও চলছে। আর এরই মধ্যে লাদাখে ফায়ারিং নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আর চীনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ি-এর সাক্ষাতের আগে প্যাংগং হ্রদের (Pangong Tso) উত্তর দিকে দুই সেনার মধ্যে ফায়ারিং হয়েছিল।
এক আধিকারিক জানান, যেই যায়গায় ফিঙ্গার-৩ আর ফিঙ্গার-৪ এক হয়, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ১০০ থেকে ২০০ রাউন্ড ফায়ারিং হয়। ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্টে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক আধিকারিক বলেছেন যে, দুই দেশে সেনা ফিঙ্গার এলাকায় নিজেদের শক্তি মজবুত করতে পেট্রোলিং যখন করছিল, তখনই এই ফ্যারিং হয়। যদিও, এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে চীন আর ভারতের তরফ থেকে কোনও আধিকারিক বয়ান জারি হয় নি। এর আগে চুশুল সেক্টরে হওয়া ফায়ারিংয়ের ঘটনায় দুই দেশে মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। আধিকারিকরা জানান, ফিঙ্গার এলাকায় হওয়া ফায়ারিং চুশুলের ফায়ারিংয়ের থেকে বেশি ভয়াবহ ছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আধিকারিক জানান যে, ভারত আর চীনের সেনার মধ্যে এক মাসে তিনবার ফায়ারিং হয়েছে। এখনো পর্যন্ত শুধু চুশুল সেক্টরে হওয়া ফায়ারিংয়ের ঘটনা নিয়ে দুই দেশ আধিকারিক বয়ান জারি করেছে। আগস্ট মাসে মুকপরীতেও ফায়ারিং হয়েছিল, কিন্তু সেই সময় কোন আধিকারিক বয়ান জারি করা হয় নি। এবার প্যাংগং এর উত্তর এলাকায় ১০০ থেকে ২০০ রাউন্ড ফায়ারিং চলে। কিন্তু এটা নিয়েও দুই দেশ কোনও আধিকারিক বয়ান জারি করেনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আধিকারিক প্যাংগং হ্রদের উত্তর প্রান্তে কীভাবে ফায়ারিং শুরু হয়েছে সেটা জানিয়েছেন। সেপ্টেম্বরের প্রথমের দিকে ভারতীয় সেনা প্যাংগং এর উত্তর প্রান্তে নিজেদের পজিশন বদালাচ্ছিল। চীনের সেনা সেই সময় সেই জায়গা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ছিল। আর তখনই দুই দেশের মধ্যে ফায়ারিং হয়।