করোনার যম ইলিশ! আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলার জনপ্রিয় ইলিশ মাছ (Hilsa) রুখে দিতে পারে করোনা (corona)! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে এক আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে। জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ইলিশের তেল করোনার স্পাইক (করোনা ভাইরাসের গায়ে যে কাঁটার মতো অংশটি বর্তমান) ভোঁতা করে দিচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হলেও তা অল্পেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারে ইলিশের তেল। আইসিইউ পর্যন্ত গড়াবে না করোনা সংক্রমণ।

images 79 2

এই গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড করোনার ক্ষেত্রে ভীষনই কার্যকরী। বিভিন্ন কোম্পানি বাজারে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবে কৃত্রিম ওমেগা থ্রি বিক্রি করলেও তা সরাসরি গ্রহণ করাই ভালো বলে মনে করছেন গবেষকরা৷ আর এই ওমেগা থ্রিতে ভরপুর বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ। ইলিশ ছাড়া স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছেও ওমেগা থ্রি। তবে তা অত্যন্ত সামান্য পরিমানে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান কোভিডের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রকমের কাজ করছে। যার দেহে ওমেগা থ্রি যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে তাকে খুব একটা কাবু করতে পারছে না করোনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত ওমেগা থ্রি থাকলে আইসিইউতে ভর্তি হতে হচ্ছে না রোগীকে।

ওমেগা থ্রি যে হার্টের পক্ষে অত্যন্ত ভালো তা নিয়ে সন্দেহ নেই চিকিৎসক মহলের। তারা জানাচ্ছেন, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া আটকাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেয় এটি৷

গবেষণাটিতেও বলা হয়েছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে আইকোসাপেনটানয়েক অ্যাসিড বা ইপিএ এবং ডকোসাহেস্কানয়েক অ্যাসিড বা ডিএইচএ-ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১ কেজি ওজনের একটি ইলিশে প্রায় ১১.৮৩ শতাংশ ইপিএ ডিএইচএ থাকে, যা অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করছেন গবেষকরা।

তবে এটির সাথে অনেকে একমত হলেও বিষয়টি এখনো তত্ত্বের পর্যায়েই রয়েছে। এর কোনো ক্লিনিকাল ট্রায়াল এখনো হয়নি। এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে পর্যন্ত এই গবেষণা যতই যুক্তিসম্মত হোক, গৃহীত হবে না।

 

সম্পর্কিত খবর