ভারতের (india) কোনায় কোনায় এখনো এমন অনেক আধ্যাত্মিক রহস্য লুকিয়ে আছে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই। এমনই একটা স্থান বৃন্দাবনের নিধিবন (nidhiban)। যেখানে আজও গোপীনিদের সাথে রাসলীলায় মাতেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কিন্তু সেই লীলা দেখার অধিকার কারো নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত আগ্রহ বশে সেই লীলা দেখতে যান, তবে তার পরিনতি হয় উন্মত্ততা। আসুন জেনে নি এই নিধিবন সম্পর্কে ৫ রহস্য যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই
১. সারাদিন নানা পশুপাখি নিধিবনে থাকলেও সন্ধ্যের আগেই তারা এই বন ছেড়ে চলে যায়। সন্ধ্যারতির পর নিধিবনের দরজা বন্ধ করে সকলকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি রাত্রে সেই স্থানে মন্দিরের সেবক-পুরোহিতরাও প্রবেশ করেন না।
২. নিধিবনের মধ্যে রং মহল নামের এক মন্দির আছে। কথিত, প্রতিরাতে এখানে রাধা কৃষ্ণ বিশ্রাম করেন। সন্ধ্যে নামার আগেই সেই মন্দিরে শৃঙ্গারের সব উপকরণ সাজিয়ে রেখে তালা দিয়ে দেন পুরোহিত। পরদিন ভোর ৫ টায় যখন মন্দির খোলা হয় তখন সমস্ত ঘর ওলট-পালট থাকে। এমনকি যত্ন করে সাজানো পানও আগের মত থাকে না।
৩. নিধিবনে থাকা প্রতিটি গাছই আর ৫ টা গাছের চেয়ে আলাদা। এখানকার গাছের শাখাগুলি মাটির দিকে। পাতা এত ঘন যে রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না।
৪. এই নিধিবনে থাকা প্রতিটি তুলসী গাছই জোড়ায় জোড়ায়। এখানে একটিও একক তুলসী গাছে দেখতে পাওয়া যায় না৷ মনে করা হয়, রাতে রাধা-কৃষ্ণের লীলার সময় এই গাছগুলি গোপীনি রূপ ধারণ করে। সকাল হতেই আবার তারা গাছ রূপে ফিরে আসে।