বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি হাওলা নেটওয়ার্ক মামলায় এক বড় খবর প্রকাশে এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, চীনা নাগরিক চার্লি পেং (Charlie Peng) কর্ণাটকের বাইলাকাপ্পির সেরা বৌদ্ধ বিহারে বসবাসকারী ভিক্ষুদের মোটা টাকার ঘুষ দিয়ে বৌদ্ধ গুরু দালাই লামার বিষয়ে তথ্য জোগাড় করছিল।
চীনা নাগরিক চার্লি পেং এই কাজের জন্য সেরা বৌদ্ধ বিহারের সন্ন্যাসী জামায়ং জিনপাকে ৩০ লক্ষ টাকাও দিয়েছিল। এইভাবে টাকার লোভ দেখিয়ে ভারতে সন্ন্যাসীদের মধ্যে হাওয়ালের একটি পুরো নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
দলাই লামা ছিল তাদের আসল টার্গেট
৪২ বছর বয়সী এই চীনা ব্যক্তি ভারতের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মোটা অর্থের লোভ দেখিয়ে, সে নিজে দিল্লীর মজনু কা টিলাকে তার রাডারে থেকে সেখান থেকেই সমস্ত কিছু পরিচালনা করত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দলাই লামাকে (Dalai Lama) সরিয়ে কোন চীনা ব্যক্তিকে দলাই লামা হিসাবে ঘোষণা করা। তদন্তে নেমে ভারতে চীনাদের নেটওয়ার্ক বিস্তারের এই একটা লিঙ্ক পাওয়া গেছে। তবে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ঘুষের বিষয় দিল্লীতেও চলছিল কিনা।
অর্থ লেনদেনের কথা স্বীকার করেছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা
এই চীনা নাগরিকের জালে জড়িয়ে পড়ে, বেশ কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষু টাকার লোভে তার হয়েই কাজ করতে শুরু করে। তবে এর মধ্যে ২ জন ভিক্ষু চাপে পড়ে সেরার মঠগুলির প্রধান খোপন তাশি তাসারিংয়ের কাছে এই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
আসল ব্যক্তিকে তারা চিনতই না বলে জানিয়েছে
তাশি জানিয়েছেন, এই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রাপ্ত অর্থ তাদের পরিবার বন্ধুবান্ধবদের পড়াশুনার পেছনে খরচ করত। তবে তারা মূল অভিযুক্তকে কখনই দেখেনি। তারা শুধুমাত্র টাকা লেনদেকারী হিসাবে ব্যবহৃত হত। তারা আসল ব্যক্তির বিষয়ে কিছুই জানে না’।
তদন্তে নেমে কর্ণাটক ও দিল্লী পুলিশ এখনও অবধি প্রায় ৩০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের একটি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের অংশ চিল এই চীনা নাগরিক চার্লি পেং। অন্যান্য চীনা নাগরিকদের সঙ্গে মিলিতভাবে শেল সংস্থাগুলির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছিল। তারা দিল্লীতে স্থিত তিব্বতীদের ঘুষ দেওয়ার কাজ করত।