অঙ্ক কষায় ভারতীয়দের জুড়ি নেই। শূন্যের আবিস্কারক আর্যভট্ট থেকে হিউম্যান ক্যালকুলেটর শকুন্তলা দেবী, অনেকের কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু জানেন কি এমনও এক ভারতীয় ছিলেন যিনি নাসার কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুত অঙ্ক কষেছিলেন।
বলা হয়ে থাকে, ১৯৬৯ সালে যখন নাসা চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠিয়েছিল তখন অবতরনের সময় নাসার ৩১ টি কম্পিউটারই শাট ডাউন হয়ে যায়। তখন এক ভারতীয় গনিতবিদ যন্ত্রের চেয়েও দ্রুত গতিতে অঙ্ক কষে চাঁদে মানুষের প্রথম পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বশিষ্ঠ নারায়ন।
জানা যায়, তিনি অঙ্কের নেশায় এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে একসময় অঙ্কই তার মানসিক অসুখের কারন হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় ৪০ বছর তিনি আক্রান্ত ছিলেন schizophrenia নামক মানসিক অসুখে।
অসামান্য প্রতিভা সম্পন্ন এই মানুষটি জীবন নানা চড়াই- উৎরাই এ ভরা। এক সময় নাসায় চাকরি করা এই মানুষটিই পরবর্তীতে হারিয়ে যান বিস্মৃতির করাল অন্ধকারে।
বশিষ্ঠ জন্মেছিলেন বিহারের এক হতদরিদ্র পরিবারে৷ কিন্তু অভাব কখনোই তার প্রতভাকে হারাতে পারে নি। পাটনায় সায়েন্স কলেজে পড়ার সময়ই তিনি শিক্ষকদের ভুল ধরতেন অঙ্কের ক্লাস চলাকালীন। পরবর্তীকালে তিনি আমেরিকা যান এবং শিক্ষা শেষে নাসায় চাকরি করেন৷
তিনি ভারতের IIT তেও বহুদিন অধ্যপনা করেছেন। এছাড়াও ISI kolkata তেও তিনি অধ্যাপক হয়েছিলেন। দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির সাথেও যুক্ত ছিলেন তিনি৷ এহেন মানুষটি শেষ বয়সে মানসিক রোগের শিকার হন এবং ২০১৯ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু কাল পর্যন্ত তার ধ্যানজ্ঞান ছিল শুধুই গনিত।