বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস মামলা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়। রোজই এই মামলায় নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। আর এবার এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সন্দিপ ঠাকুর পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্টকে চিঠি লিখে জানিয়েছে যে, কীভাবে মৃতার পরিবার তাকে ফাঁসিয়েছে। সন্দিপ চিঠিতে জানিয়েছে, মৃতার সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল, আর এটা মৃতার বাড়ির লোকেরা পছন্দ করত না। শুধু তাই নয়, ১৪ সেপ্টেম্বরের দিনে সে আর মৃতা ক্ষেতে দেখা করে আর সেই সময় মৃতার ভাই আর তাঁর মা চলে আসে। সন্দিপ জানায়, তখন মৃতা আমাকে তড়িঘড়ি সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর তাঁর মা আর দাদা মিলে তাকে বেধড়ক মারে।
সন্দিপ SP কে লেখা চিঠিতে বলে, তাঁদের দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ছিল। সে মৃতার সাথে দেখাও করত আর ফোনেও কথা বলত, কিন্তু মৃতার পরিবার এটা ভালো চোখে দেখত না। ঘটনার দিন তাঁরা দুজনে ক্ষেতে দেখা করে। সন্দিপ জানায় সেই সময় মৃতার ভাই আর তাঁর মা চলে আসে। সন্দিপ জানায়, তখন মৃতা আমাকে তড়িঘড়ি সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সন্দিপ লেখে, এরপর আমি গ্রামবাসীদের থেকে জানতে পারি যে মৃতার মা আর দাদা মিলে তাকে বেধড়ক মারধোর করেছে। এরপর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। সন্দিপ নিজের চিঠিতে নিজেকে আর অন্য তিনজনকে নির্দোষ বলে মৃতার মা আর দাদার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ করে। এর সাথে সাথে সে ন্যায় বিচারেরও আবেদন করে।
জানিয়ে দিই, মৃত যুবতীর ভাই আর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তর মধ্যে কল ডিটেলস সামনে এসেছে। দুই নম্বর থেকে এক বছরে ১০৪ বার কথা বলা হয়েছে। নির্যাতিতার ভাই আর প্রধান অভিযুক্তর মধ্যে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। সবথেকে বড় কথা হল, এই কথা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলেছে। যদিও পুলিশের এই দাবি সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দিয়েছে মৃতার পরিবার।