বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার DRDO স্বদেশী প্রোটোটাইপ ড্রোন রুস্তম-২ (Rustom 2) এর সফল ফ্লাইট টেস্টিং করে। কর্ণাটকের চিত্রদুর্গে রুস্তম-২ ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে ওড়ে। এই প্রোটোটাইপকে এই বছরের শেষের মধ্যে ২৬ হাজার ফুট উচ্চতা আর ১৮ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার জন্য তৈরি করা হবে। DRDO এই ড্রোন সেনার সাহাজ্য করার জন্য বানিয়েছে। এই ড্রোন শত্রুদের খোঁজা, নজরদারি রাখা, লক্ষ্যে অভেদ্য নিশানা আর সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সে ব্যবহার করা হবে। জানিয়ে দিই, আমেরিকা হামলা করার জন্য এরকমই ড্রোন ব্যবহার করে। এর আগে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাসে এর ট্রায়াল ব্যর্থ হয়েছিল। চিত্রদুর্গেই ট্রায়ালের সময় এই ড্রোন ক্র্যাশ হয়ে গিয়েছিল।
DRDO আশা করেছে যে, রুস্তম ২ ভারতীয় বায়ুসেনা আর নৌসেনা দ্বারা ব্যবহার করা ইজরায়েলি হেরন আনম্যানড এরিয়াল ভেহকিলকে জোরদার টক্কর দিতে পারবে। চীনের সেনা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় ১৯৫৯ এর কার্টোগ্রাফিক দাবি ভিত্তিতে লাদাখে ভারতীয় এলাকায় কবজা করার প্রচেষ্টার পর রুস্তম ২ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল। PLA এর কাছে উইং লুং-২ আর্মড ড্রোন আছে। চীন এই ড্রোন গুলোর মধ্যে চারটিকে CPEC আর্থিক করিডোর আর গ্বাদর বন্দরের সুরক্ষার জন্য পাকিস্তানকে দান করেছে।
যদিও রুস্তম-২ কে ভারতীয় সেনা যুক্ত করার আগে এখনো বেশকয়েকটি ট্রায়াল দিয়ে যেতে হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় বর্তমানে এজরায়েল এয়রোস্পেস সংস্থার সাথা হেরন ড্রোনকে আপগ্রেড করা আর মিসাইল এবং লেজার গাইডেড বোমাকে হাওয়া থেকে জমিতে লক্ষ্য ভেদ করার উপযুক্ত বানানোর জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে।
জানিয়ে দিই, গতকাল DRDO আরও একবার ইতিহাস সৃষ্টি করে। DRDO শুক্রবার সুখোই লড়াকু বিমান থেকে অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল ‘রুদ্রম” (rudram) এর সফল পরীক্ষণ করেছে। এই মিসাইল ডিআরডিও দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। DRDO জানায়, ‘রুদ্রম ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বানানো দেশের প্রথম স্বদেশী অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইল, যেটি DRDO দ্বারা বিকশিত করা হয়েছে। এই মিসাইলটিকে লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম রুপে সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই লড়াকু বিমানে যুক্ত করা হয়েছে, এই মিসাইলে লঞ্চ শর্তের উপর নির্ভর করে এর বিভিন্ন পরিসীমা ক্ষমতা রয়েছে।”
'Rudram' is the country’s first indigenous Anti Radiation missile for Indian Air Force that has been developed by DRDO. The missile is integrated on Sukhoi Su-30MKI fighter aircraft as launch platform, having capability of varying ranges based on launch conditions: DRDO https://t.co/tVJIikeSEp
— ANI (@ANI) October 9, 2020
DRDO আরও জানায়, ‘এটিতে চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য প্যাসিভ হোমিং হেড সহ আইএনএস-জিপিএস নেভিগেশন রয়েছে। রুদ্রম রেডিয়েশন লক্ষ্য পিনপয়েন্টে সটীক ভাবে আঘাত করেছে। প্যাসিভ হোমিং হেড বিস্তৃত ব্যান্ডের সাহায্যে লক্ষ্য সনাক্তকরণ, শ্রেণিবদ্ধকরণ এবং বিজড়িত করতে সক্ষম।
এটি ভারতে তৈরি প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র যা যেকোনও উচ্চতা থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রটি যেকোনও ধরণের সংকেত এবং বিকিরণ ক্যাপচার করতে সক্ষম। এর সাথে সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে নিজের র্যাডারে এনে যেকোনও মিসাইল্কে ধ্বংস করতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রটি বর্তমানে উন্নয়নের পরীক্ষায় রয়েছে।
ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরেই এই মিসাইল সুখোই এবং দেশীয় বিমান তেজাসেও ব্যবহৃত হবে। জানিয়ে দিই, সোমবার ডিআরডিও সফলভাবে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র টর্পেডো (স্মার্ট) এর সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এটি ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে ডিআরডিও দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল।