বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতের অন্তত তিনটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দরকার। সেই কারণে নতুন একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করলেন ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং । বর্তমানে অবশ্য ভারতের কাছে একটিই একটিভ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার রয়েছে। অন্যটি এখনও তৈরির পথে।
ভারতীয় নৌসেনায় ২০১৩ যুক্ত হয়েছিল প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রমাদিত্য । যদিও সেটি মডিফায়েড ছিল। এখন ভারত আইএনএস বিক্রান্তের অপেক্ষায়। এটিই দেশে তৈরি প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। কেরলের কোচিন শিপইয়ার্ডে এটি তৈরি হচ্ছে। তবে ক্যাবিনেটের সম্মতি থেকে এটি তৈরি, সব মিলিয়ে ১৮ বছর লেগে গিয়েছে। সেই কারণেই খুব শীঘ্রই তৃতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু করতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা। চিনের কাছে এই মুহূর্তে পাঁচটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার রয়েছে, খুব শীঘ্রই ষষ্ঠটি যুক্ত হবে।
গতকাল নৌসেনা দিবস উপলক্ষ্যে এক বার্তায় নৌসেনা প্রধান বলেন, ভারত যদি পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হতে চায়, তাহলে তা রক্ষার জন্যও ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আসলে ভারত যত শীঘ্র সম্ভব নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে। বর্তমানের লং রেঞ্জ স্ট্যান্ড অফ যুদ্ধাস্ত্রের সামনে এই সব ভেসেল কতদিন টিকবে সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, চিনের কাছে ডিএফ-২১ নামে একটি মিসাইল রয়েছে যেটি ১৭০০ কিমি দূর থেকে যেকোনও জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। এটির নাম চিন দিয়েছে ‘শিপ কিলার’।
তৃতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে আইএনএস বিক্রমাদিত্যের মতো স্কাই জাং স্টোবার [শর্ট টেক অফ, ব্যারিয়ার অ্যারেস্ট রিকভারি সিস্টেম] চায় না নৌসেনা। বদলে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এয়ারক্রাফট লঞ্চ সিস্টেম যুক্ত ৬৫ হাজার টনের একটি এয়ারক্রাফট চাইছে নৌসেনা।