বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের পাল্টা দিচ্ছে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) ‘আর নয় অন্যায়’ প্রকল্প। একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে বাংলার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। এই কারণেই শনিবার বারাসাত এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (kailash vijayavargiya)। সেখান থেকেই করলেন এক বড় ঘোষণা।
শুরু হবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ
ভোটের মুখে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে সরগরম থাকা রাজ্য রাজনীতিত, ট্রাম কার্ড ছাড়ল বিজেপি। শনিবার বারাসতের কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করলেন, আসন্ন জানুয়ারি থেকেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করবে কেন্দ্র সরকার।
बारासात (पश्चिम बंगाल) के पूर्बो मंडल से आज #AarNoiAnnay अभियान शुरू किया गया। गृहसंपर्क के साथ लोगों से सीधे बातचीत की गई और उन्हें #BJP की नीतियों से अवगत कराया गया। pic.twitter.com/9BhfMhLEnX
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 5, 2020
এদিন বারাসাতের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেইসঙ্গে সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘রাজ্য সরকার যতই বিরোধিতা করুক না কেন, মোদী সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কোন নড়চড় হবে না। বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করা আগে আগামী জানুয়ারি থেকেই। আপনারা দেখবেন, এই তৃণমূল সরকার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কথা ভাবছেই না, শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ মানুষকে চিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। কিন্তু বিজেপি পুরো ১০০ মানুষের জন্য ভাবে, তাদের শিল্প, কর্মসংস্থান সবকিছু নিয়েই ভাবে। রাজনৈতিক বিভেদ করে না’।
আক্রমণ করলেন বাংলার সরকারকেও
বাংলাকে সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রয়েছে বঙ্গবিজেপি। কিন্তু কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তোপ দেগে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘সোনার বাংলা কি করে তৈরি হবে, এখানে তো শুধু অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে। আমফান ত্রাণে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো টাকা, চাল সব কিছুই লুট করেছে, শোষণ করেছে বাংলার সরকার’।