বাংলা হান্ট ডেস্ক: পথ ভুলে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের তরুণ সোহন সিং ওরফে সোনু। পথ হারা সোনুকে ভারতীয় চর সন্দেহে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের পুলিশ। তারপর জেলে চলে অকথ্য অত্যাচার। এসবের মাঝেই কেটে গিয়েছে এক যুগ। ১৩ বছর পাকিস্তানের জেলে বন্দি থেকে এই বছর অবশেষে দেশে ফিরলেন সোনু সিং। আর দীর্ঘ সময় পর অবশেষে ছেলেকে ফিরে পেয়ে আত্মহারা বাবা মুখে একটাই কথা, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’।
গত ২৬ দীর্ঘদিন ধরেই সোনুকে ছাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার। শেষমেশ ২৬ অক্টোবর ভারতে ফেরেন সোনু। কিন্তু করোনার কারণে এতদিন অমৃতসরের এক কোয়ারেন্টিন সেন্টারেই থাকতে হয় তাঁকে। অবশেষে শনিবার অমৃতসর থেকে ললিতপুর ট্রেনে করে ফেরেন সোনু। স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানাতে ছিলেন তাঁর পরিবার পরিজন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মনোহর লাল পন্থ সহ গোটা গ্রামের লোকজন।
সোনু পরে সাংবাদিকদের জানান, ১৮ বছর বয়সে কাজের জন্য দিল্লি পাড়ি দেন তিনি। সেখানে কাজও করতেন। তারপর একদিন ওয়াঘা বর্ডার দেখতে যান। সেখানেই পথ ভুলে চলে যান পাকিস্তানে। সেখানকার নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ধরা পরার পর থেকে জেলেই বন্দি। চলে অকথ্য অত্যাচার। আর তার জেরেই মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। পিতা রোশন সিং জানান, ছোট থেকেই ছেলে আত্মভোলা।
১৮ বছর বয়সে হঠাৎ একদিন বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান সোনু। তারপর থেকে ছেলের খোঁজ পাননি। কিছুদিন আগে হঠাৎ সরকারের তরফে তাঁকে যোগাযোগ করে জানানো হয় সোনু পাকিস্তানের জেলে বন্দি এবং ভারত সরকার তাঁকে ফেরত আনার প্রচেষ্টা করছে। অবশেষে ঘরে ফিরল ছেলে। আর সন্তানকে কাছে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন রোশন সিং।