বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বেশ কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) চিন্তা বাড়িয়ে এসেছেন। আর এরমধ্যে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rajib Banerjee) এখন তৃণমূলের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দারিয়েছেন। গতকাল করুণাময়ী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা যোগ্যতার সাথে কাজ করছেন, তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে AC ঘরে বসে রাজনীতি করা মানুষেরাই আজ সামনের সারিতে উঠে এসেছেন।” তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন ভালো কাজ করতে যায়, তখন তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। অনেকেই এখানে আছেন, যারা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছেন।”
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উত্তর কোলকাতা জুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়া শুরু হল। আর এই ঘটনার জেরে কালীঘাটে জোর অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। গিরীশ পার্ক, শ্যামবাজার হাতিবাগান সমেত বিভিন্ন এলাকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীর সমর্থনে এহেন পোস্টার পড়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে আবারও নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
উত্তর কলকাতার যেসমস্ত এলাকায় এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার দেখা গিয়েছিল, সেসব এলাকাতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল। এর আগে বৈশালী ডালমিয়া, শীলভদ্র দত্তের মতো তৃণমূলের বিধায়ক বেসুরো গেয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। আর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে তৃণমূলের মাথাব্যাথা আরও বাড়ল।
আজ তৃণমূল তথা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য একটি বিশেষ দিন। কারণ আজই শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবে। আরেকদিকে, শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠকের আগে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংহ দাবি করেছেন যে, শুভেন্দু যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে নির্বাচনের আগেই ভেঙে পড়বে মমতার সরকার। এছাড়াও নির্বাচনের আগে CAA লাগু করার বার্তা দিয়ে জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকতা প্রদান করার কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপির মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়।