রাষ্ট্র পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব যাদের কাঁধে তাদের সংসার কিভাবে চলে অর্থাৎ তারা কত বেতন পান? এই নিয়ে আমাদের অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। সব ক্ষেত্রে তারা যে যথেষ্ট বেতন পান এমনটাও নয়। এর সর্বশেষ উদাহরণ হ’ল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বক্তব্য। বরিস জানিয়েছেন, তিনি অন্য কোনো কাজ করার পরিকল্পনা করছেন কারণ বর্তমান বেতনের সাথে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বরিসের বক্তব্যটি কতটা সত্য তা জানতে বিশ্বের শীর্ষ তিন নেতার বেতন জেনে নিন
ডোনাল্ড ট্রাম্পঃ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তিনি বেতন নেবেন না। তবে মার্কিন সংবিধান তাকে সেই অনুমতি দেয়নি। এই কারণেই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বেতন নিতে বাধ্য হয়েছেন, তবে তার বেশিরভাগটাই তিনি দান করে দিয়েছেন। ধনী পরিবার থেকে আগত জন এফ কেনেডি এবং হারবার্ট হুভারের মতো প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতিরাও তাদের বেতন দান করেছিলেন। ট্রাম্প এর মোট সম্পদের পরিমাণ আড়াই বিলিয়ন ডলার। তিনিই প্রথম বিলিয়নেয়ার মার্কিন রাষ্ট্রপতি। ইউএসএ টুডের একটি তালিকা অনুসারে, সর্বাধিক বেতনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে তিনি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তার বেতন প্রতি বছর ২.৯৪ কোটি
নরেন্দ্র মোদিঃ
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। সেই প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর অস্থাবর সম্পদ গত অর্থবছরের ১.৩৯ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৫ কোটি। হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী তার বেতনের খুব কম অংশই খরচ করেছে তাঁর সম্পদ বেড়েছে। এই বছর প্রধানমন্ত্রী COVID-19 সঙ্কটের কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা তাদের বেতন ৩০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী মাসে দুই লক্ষ টাকা পান, যা বিশ্বের সমস্ত নেতার চেয়ে অনেক কম।
বরিস জনসনঃ
কিছুদিন আগেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করেছেন যে তিনি এই বেতন সংসার চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয় তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে বরিস জনসন ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে কাজ করেছিলেন, যেখানে তার বেতন ছিল বছরে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য রেখে বহু কোটি টাকা আয় করতেন। তার বর্তমান বেতন বছরে ১.৪৩ কোটি টাকা।