বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ডায়মন্ড হারবারে জনসভা ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওনার এই সভায় গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের দুজন বিধায়ক। মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস ও ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের অনুপস্থিতি তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দুই তৃণমূল বিধায়কের অনুপস্থিতির খবর প্রকাশ্যে আসতে জল্পনা ছড়ায়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে যে কোনও জল্পনাই নেই। দীপক হালদার ও দুলাল দাস অসুস্থতার কারণে আজ সভায় যোগ দিতে পারেন নি বলে জানান তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খান। তিনি এও জানান যে, ওনারা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
আরেকদিকে আজ জল্পনা বাড়ালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। তাহলে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কি এবার রাজনৈতিক মহলে দাদাগিরি দেখাতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? এর আগেও অনেকবার সৌরভের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নানান জল্পনা উঠেছিল। আর আজকে রাজ্যপালের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢালার কাজ করল।
যদিও রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেন নি। আরেকদিকে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরাও এই নিয়ে কিছু জানান নি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভিতরে ভিতরে অনেক কিছুই চলতে পারে, তবে এটা ভোটের আগে প্রকাশ্যে আসবে না। কিছুদিন আগে অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে বলেছিলেন যে, বাংলার ভূমিপুত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ওনার এই বক্তব্যের পর সৌরভের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
বিজেপির মহিলা মোর্চা দ্বারা আয়োজিত দুর্গা পুজোর অনুষ্ঠানে সৌরভ পত্নী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ও সৌরভের রাজনীতিতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা উঠেছিল। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেন নি মহারাজ। আরেকদিকে, তিনি আবার বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়েও দেন নি। আজ রাজভবনে সাড়ে চারটে নাগাদ রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল মহারাজের। তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সেখানে পৌঁছে যান।