বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দলের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। কিন্তু বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও বিজেপিতেও তাঁকে এতদিন ধরে সক্রিয় কোন পদের দায়িত্বে দেখা যায়নি। একইসঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Baishakhi Banerjee) ছিলেন একজন সামান্য বিজেপি কর্মী। তবে এবার একুশের নির্বাচনের আগে বড় পদে অধিষ্ঠিত হলেন দুজনেই।
তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হয়েও, শেষের দিকে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে কিছু মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় একসময়কার কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। তাঁর সঙ্গে বিজেপি পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিলেও, এতদিন ধরে তাদের সেভাবে কোন সক্রিয় ভূমিকাতে দেখা যায়নি।
মাঝে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, বিজেপিতে যথাযথ গুরুত্ব না পেয়ে আবারও নাকি তৃণমূল যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। কিন্তু তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের আপত্তি থাকায় পুরনো দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় তাদের কাছে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নভেম্বরের অমিত শাহের বঙ্গ সফরে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই রেশ ধরেই এবার বিজেপির দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন শোভন-বৈশাখী।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কলকাতার জন্য কাজ করতে চান। অবশেষে তাঁর সেই অনুরোধ মেনে নিল বিজেপি। একুশের নির্বাচনের আগেই বড় পদ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নতুন বছরের আগেই উপহার পেলেন তারা। বিজেপির পর্যবেক্ষক পদ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সহ পর্যবেক্ষক পদ পেলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি বিজ্ঞাপ্তি জারি করে দলের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।