বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানী (pakistani) নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, ভারতের উত্তরপ্রদেশের (uttarpradesh) এক গ্রামের গ্রাম প্রধানের পদ পেলেন এক পাক মহিলা। বিষয়টা জানাজানি হতেই, পদত্যাগ করতে হল গ্রাম প্রধান বনু বেগমকে। ৩৫ বছর পূর্বে গুদারু গ্রামের আকতার আলীর সঙ্গে বিবাহ হওয়ার পর আর পাকিস্তানে ফিরে যান না বনু বেগম, এখানেই থাকতে শুরু করে।
দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে বিয়ে পর ভারতেই থেকে যান বনু বেগম। কিন্তু এত বছর হওয়ার পরও এখনও তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। ২০১৫ সালে একবার তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে ২০ শে জানুয়ারি ২০২০ সালে গ্রাম প্রধান শাহনাজ বেগমের মৃত্যুর পরে বনু বেগমকে গ্রাম প্রধানের পদে নির্বাচিত করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশকে জানানো হয়।
গত ১০ ই ডিসেম্বর ডিপিআরও-র কাছে ওই পাকিস্তানী মহিলার নামে অভিযোগ জানান গ্রামীণ কুয়েদান খান। এরপর শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার গুদারু গ্রামের বাসিন্দা আকতার আলির সঙ্গে ৩৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানী মহিলা বনু বেগম। তারপর থেকে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে ভারতেই থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। তবে তাঁর জন্য ভারতের ভোটার কার্ড এমনকি আঁধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল বেআইনিভাবে।
পুলিশি তদন্তে বেনু বেগম পাকিস্তানী প্রমাণ হওয়ায় তাঁকে গ্রাম প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বেনু বেগমের বিরুদ্ধে FIR-ও করা হয়। এমনকি তাঁর ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে যারা তাঁকে সাহায্য করেছিল, তাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে।