বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে (pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) প্রান্তে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের বিষয়ে এখনও অবধি ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাক প্রশাসন। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রান্তে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পড়ে পাকিস্তান। ভারতের থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয় ইসলামাবাদে।
পাকিস্তানের এই উত্তেজিত পরিস্থিতির মধ্যে ইসলামিক ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik) এই মন্দির ধ্বংসের বিষয়কে সমর্থন করে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন। সন্ত্রাসে উসকানি দিয়ে করা তাঁর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে বিভিন্ন মহলে। এমনকি বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অবিলম্বে জাকির নায়েককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তানের হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনাকে সমর্থন জানিয়ে ভিডিতে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা একাবারে ঠিক হয়েছে। কারণ ইসলামিক দেশে কোন মন্দির থাকা একদমই উচিত নয়’।
প্রসঙ্গত,খাইবার পাখতুনখোয়ার টেরি গ্রামে এক হিন্দু মন্দিরে আচমকাই হামলা চালাতে শুরু করে। মন্দিরটিতে ভাংচুর চালিয়ে ধূলিসাৎ করে দেয়। এমনকি মন্দিরে থাকা দেবদেবীর মূর্তিও তুলে এনে রাস্তায় ফেলে দেয়। এখানেই থামেনি ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। নিজেদের ক্ষোভের সম্পূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মন্দির চত্বরে। চোখের সামনে মন্দির শেষ হয়ে যেতে দেখেও ভয়ে কোনরকম প্রতিবাদ করতে পারে না হিন্দুরা। ঘটনার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরও, এবিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি ইমরান খান।
https://twitter.com/voice_minority/status/1344227213621788675
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় ক্ষেপে ওঠে ভারত। কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তানের এই কর্মকান্ডের। কূটনৈতিক স্তরে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ভারতের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে মূল অভিযুক্ত মৌলবাদী জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম পার্টি। তবে এই ঘটনায় এখনও অবধি ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাক পুলিশ। ভারতের দিক থেকে চাপ আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গেছে ইমরান খান সরকার।