বলা হয়ে থাকে যে আপনার যদি সত্যিই মনে মনে কিছু করার ইচ্ছা থাকে তবে কোনো কিছুই আপনাকে আটকাতে পারবেনা। হরিয়ানা রাজ্যের হিসার শহরের অশোক কুমার (ashok kumar) ও তার বাবা এই সত্যটি দেখিয়েছেন, যার বাবা একটি ছোট গম কল চালায়। এই যুবকের নাম অশোক কুমার, ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্পটি এই যুবকের সাফল্যের পেছনে বড় অবদান রেখে চলেছে।
আপনাকে জানাই যে, যে অশোক কুমারের পরিবারে ছোট থেকেই অভাব নিত্যসঙ্গী । অশোক কুমার যখন আজ ভাবে পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের একজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী হয়ে উঠলেন, তখন তাঁর বাবা মঙ্গরাম তাঁর জন্য গর্বিত।
নিজের আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, ‘অশোক শুরু থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল। অর্থের অভাবে অশোককে গ্রামের একটি সরকারী স্কুলে পড়াতে হয়েছিল এবং নিজের প্রতিভার কারণে অশোক এগিয়ে চলেছে
অশোক কুমার তার সাফল্যের কৃতিত্ব তার পিতামাতাকে দিয়েছেন। অশোক বাড়িতে তিন ভাইবোনদের মধ্যে বড়। আবদুল কালামকে শৈশব থেকেই টিভিতে দেখে অশোক খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন। যার কারণে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তিনি বড় হয়ে আবদুল কালামের মতো বড় বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন।
অশোক কুমার জানিয়েছেন যে ২০১২ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে তাঁর গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পড়াশোনা এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তিনি পুরো ২ বছর বাড়ি থেকে দূরে ছিলেন অশোক।
তার পিসির বাড়ি কিরমারা গ্রামে, যা তার কলেজের কাছে ছিল। সে তার পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই বাড়িতে তার পিসি একাকী থাকতে। জেনে অবাক হবেন যে অশোক কুমার কেবল ইন্টারনেট ছাড়াই সংবাদপত্র পড়ে এই অর্জন করেছেন।
ভাভা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী পদ নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের মাসে যে ইন্টারভিউ হয়েছে, অশোক কুমার সেটি পাশ করেছ। এই পরীক্ষায় অশোক কুমার ভারতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। এই পরীক্ষার ফলাফল ৫ জানুয়ারী ঘোষনা করা হয়েছিল। যার মধ্যে অশোক কুমার সহ গোটা ভারত থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণ ১৬ জানুয়ারী থেকে শুরু হতে চলেছে।