২০২১ সালের বাজেট (Budget 2021) হবে পেপারলেস। স্বাধীন ভারতে প্রথম সরকার হিসাবে এই পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার (modi government) । এই প্রথম কোনো বাজেট প্রিন্ট হবে না পেপারে৷ জানা যাচ্ছে, করোনার সংক্রমণের কারনেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
পাশাপাশি এই বছর প্রথাগত ‘হালয়া’ অনুষ্ঠানেও লোকসংখ্যা সীমিত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে সাধারণত বাজেট তৈরি ও প্রিন্ট করা হয়ে থাকে। প্রচুর লোক এই কাজে যোগ দেয়। তবে করোনার কারনে এবার এই কাজে অংশগ্রহণ করবে সীমিত সংখ্যক কর্মী৷
জানা যাচ্ছে, Pradhan Mantri Krisan Samman Nidhi Yojana সম্পর্কে আগামী বাজেটে বড় ঘোষনা করতে পারে মোদি সরকার (modi government) । ১ ফেব্রুয়ারি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন। এর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পুরো ফোকাস কৃষকদের দিকে। তিনটি কৃষি আইনের কারণে, দিল্লির সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের মধ্যে সরকার বাজেটে কৃষকদের স্বার্থে অনেক বড় কয়েকটি ঘোষণা করতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার কিসান সম্মান নিধির অধীনে বেশ কিছুটা টাকার পরিমান বাড়াতে পারে সরকার। এই বাজেটে কৃষকরা সরকারের কাছে দাবী করেছেন যে এই পরিমাণ কৃষির জন্য অপ্রতুল এবং এটি বাড়াতে হবে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটের এস্টিমেট (বিই) প্রায় ১.৫১ লাখ কোটি রুপি ছিল, যা পরবর্তী ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.৫৪ লাখ কোটি টাকা.
পাশাপাশি, ২০২০-২১সালে পল্লী উন্নয়নের জন্য বরাদ্দও বেড়েছে ১.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০১২-২০১৮ সালে প্রায় ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আওতাধীন কৃষি সেচ প্রকল্পটি ২০১৯-২০২০ সালে ৯৬৮২ কোটি থেকে বেড়ে ২০২০-২১ সালে ১১,১২৭ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ সালে ১৪০০০ কোটি থেকে পিএম শস্য বীমা প্রকল্পের বরাদ্দ ১৫,৬৯৫ কোটি টাকা হয়েছে
কৃষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী-কিসান প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত পরিমাণ মাসে ৫০০ টাকা, যা বেশ কম। ১ বিঘায় ধানের ফসল নিতে প্রায় ৩-৩.৫ হাজার টাকা লাগে এবং গমের ফসল নিতে প্রায় ২-২.৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেশি জমি নিয়ে কৃষকদের ক্ষেত্রে ছয় হাজার টাকা খুব কম সহায়তা হয়। এক্ষেত্রে পরিমাণ বাড়াতে হবে যাতে ব্যয় মেটানো সম্ভব হয়।