বাংলাহান্ট ডেস্ক: চিড়িয়াখানা থেকে শিম্পাঞ্জি (chimpanzee) দত্তক (adopt) নিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত (sohini sengupta) ও অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক (saptarshi moulik)। ‘বাবু’ নামে আলিপুর চিড়িয়াখানার (alipur zoo) জনপ্রিয় এই শিম্পাঞ্জিকে সম্প্রতি দত্তক নিয়েছেন এই তারকা জুটি।
কিন্তু হঠাৎ শিম্পাঞ্জিকে দত্তক নেওয়ার ভাবনা কেন? উত্তরে সোহিনী জানান, ছোট থেকেই তিনি পশুপ্রেমী। মা বাবার থেকে তেমনি শিক্ষা পেয়ে এসেছেন তিনি। অনেক পোষ্যও ছিল তাঁর। তাই এটা নতুন কিছু নয় তাঁর কাছে।
সোহিনী আরো জানান, বাবুকে দত্তক নিয়ে ফেরার দিনই রাস্তায় দুর্ঘটনায় আহত এক কুকুরকে দেখেন তাঁরা। তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার বন্দোবস্তও করেন সোহিনী ও সপ্তর্ষি। মানুষের থেকেও পশুপাখিদের উপর দায়বদ্ধতা বেশি বলে মন্তব্য করেন সপ্তর্ষি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণের উপর যথেচ্ছাচারের কারণে যে ফল মানুষকে ভুগতে হচ্ছে তার জন্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ খুবই প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ লোকজনপ্রেমী ফুরফুরে মেজাজের ‘বাবু’ যে অভিভাবক হিসাবে সঠিক মানুষদেরই তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারোরই।
উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকেই চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। লকডাউনের দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। দর্শকশূন্য চিড়িয়াখানায় একেবারেই নিঃসঙ্গ অবস্থায় কেটেছে বাবুর। সে নাকি খুবই মানুষ প্রেমী। তাই এমন ফাঁকা ফাঁকা অবস্থায় মন খারাপে খাওয়া দাওয়াও কমিয়ে দিয়েছিল বলে জানান বাবুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা। তবে এখন আবার আগের চেনা মেজাজে ফিরে গিয়েছে বাবু।
প্রসঙ্গত, গত সাত বছর ধরে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন সপ্তর্ষি ও সোহিনী। বাংলা সিনেমা জগতে সোহিনীর জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। থিয়েটারের মঞ্চেও তিনি একইরকম ব্যক্তিত্বময়ী। এই থিয়েটারের মঞ্চেই সোহিনীর সঙ্গে প্রথম আলাপ সপ্তর্ষির। আর সোহিনীর অভিনয় একবার দেখেই তাঁর প্রেমে পড়ে যান তিনি।
দুজনের বয়সের ফারাক প্রায় ১৫ বছর। কিন্তু বয়সটাকে নিজেদের প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে বাধা হতে দেননি কেউই। যদিও সপ্তর্ষি বয়সে ছোট হওয়ায় অনেক টিপ্পনি টিটকিরি ভেসে এসেছে বহুবার। কিন্তু পাত্তা দেননি দুজনে। এই মুহূর্তে ‘শ্রীময়ী’ সিরিয়ালে ডিঙ্কা চরিত্রে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সপ্তর্ষি। অপরদিকে ‘খড়কুটো’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন সোহিনী।