বাংলাহান্ট ডেস্ক: ব্যক্তিগত জীবনে হাজারো গুঞ্জনের মাঝেই নিজের দায়িত্ব ঠিকই সামলে চলেছেন তৃণমূলের (tmc) অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান (nusrat jahan)। অভিনয় থেকে রাজনীতির মঞ্চ দুটোই সমান তালে সামলাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নতুন বছরের শুরুতেই বিশেষ উপহার নিয়ে নিজের সংসদীয় এলাকা বসিরহাটে (basirhat) পৌঁছে গিয়েছিলেন নুসরত।
দীর্ঘদিন ধরেই বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (basirhat super speciality hospital) একটি আইসিইউ ভেন্টিলেটরের খুব প্রয়োজন ছিল। নতুন বছরে বসিরহাটবাসীকে সেটাই উপহার দিলেন নুসরত। অতি সম্প্রতি বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটা হাসপাতালে গিয়েই নতুন আইসিইউ ভেন্টিলেটরের উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী সাংসদ।
জানা গিয়েছে, নিজের সাংসদ তহবিল থেকেই এই আইসিইউ ভেন্টিলেটরের খরচ যুগিয়েছেন নুসরত। সাড়ে আট লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে ভেন্টিলেটরটি। উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন হাসপাতালে ঘুরে রোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন নুসরত। স্বাস্থ্যসাথী ও দুয়ারে সরকারের সুবিধা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
এরপর বসিরহাট স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষন ও খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। এদিন স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেলফিও তোলেন নুসরত। সেই সেলফি নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নুসরত, যশ দাশগুপ্ত ও মদন মিত্রের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত বছরের ডিসেম্বরেই দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে দেখা গিয়েছে নুসরত ও যশকে। তাঁদের সঙ্গী তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মন্ত্রী। একটি ভিডিও এই মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে তিনজনকে দেখা গিয়েছে এক ফ্রেমে। নুসরতের পরনে গোলাপি কাঞ্জিভরম শাড়ি, হাতে শাখা পলা, সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর। পাশে যশ জিন্স ও টিশার্টে, মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক।
ভিডিওতে হাসিমুখে কথাবার্তা বলতে দেখা গিয়েছে নুসরত ও মদন মিত্রকে। তবে এই তিনজন একসঙ্গেই দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছিলেন নাকি সেখানে গিয়ে নুসরত যশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মদনের? উত্তর মেলেনি কারোর তরফেই।
তবে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুসরত বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের জন্য নয়। মানুষ সবসময় আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এবারে আমি আর কিছু বলব না। আমার কাজ, আমার অভিনয় দিয়ে মানুষ বিচার করুক। আমি ভাল না খারাপ অভিনেত্রী সেটা বলুক। আমার ব্যক্তিগত জীবন আমি কারুর সঙ্গে ভাগ করে নেব না।”