বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিবেশি শত্রু দেশ পাকিস্তান (pakistan) সর্বদা ভারতের (india) ক্ষতিসাধন করতেই ব্যস্ত থাকে। কিভাবে ভারতের ক্ষতি করা যাবে, কিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিচু দেখানো যেতে পারে, দিনরাত এক করে দোসর চীনের সঙ্গে সেইসব ফন্দি এঁটে চলেছে পাকিস্তান। একদিকে যখন ভারত মহাকাশে যান পাঠানো নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন অন্যদিকে সুড়ঙ্গ পথে গোপনে কিভাব ভারতে পৌঁছানো যায়, সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
এতকিছুর পরও করোনা মহামারিরকালে যখন কোন বন্ধু দেশকেও সাহায্য করার কথা ভাবছিল অন্য দেশগুলো, সেই সময় অন্যান্য দেশের পাশাপাশি পাকিস্তানকে নানারকম ওষুধপথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে ভারত। অর্থাৎ যে দেশের থেকে বিপদের দিনে একদিকে সাহায্য নিচ্ছে পাক সরকার, সেই দেশকেই আবার নিজের সুখের সময় তুলোধোনা করে ছাড়ছে।
ভারত যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেইসময় এই পাক সরকার ইমরান খান গোটা বিশ্বের সামনে ভারতকে নিচু দেখানো এবং ভারতের বিরুদ্ধাচারণ করেন। এমনকি ভারতের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক শেষ করার কথা বলে, ভারত স্থিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তানেও ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন পাক সরকার জানতে পারল, লাইভ সেভিং ড্রাগস শুধুমাত্র ভারতেই পাওয়া যাচ্ছে, তখন পাকিস্তানের সুর নরম হয়ে যায়।
মিডিয়া সূত্রের খবর, বর্তমানে পাকিস্তানে ট্রায়াল চলতে থাকা বন্ধু দেশ চীনের করোনা ভ্যাকসিন ছাড়পত্র না পেলেও, ভারতে প্রস্তুত করোনা ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে পাকিস্তান। তাজ্জবের বিষয় হল, প্রথম আবিস্কৃত রাশিয়ার ভ্যাকসিনও কিনতে চাননি পাক সরকার ইমরান খান, কিন্তু ভারতের ভ্যাকসিন (corona vaccine) পাকিস্তানে ব্যবহারের মান্যতা পেল।
এবিষয়ে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘সরাসরি নয়, অন্যের মাধ্যমে ভায়া হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছাবে ভারতের ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ভারতে প্রস্তুত ভ্যাকসিন নেবে পাকিস্তান। আর এই ভ্যাকসিন অনেক সস্তাও’। বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশও যখন করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় চাতকের ,মত অপেক্ষা করছে, তখন পাকিস্তান কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ভারতের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।