বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও একবার বিতর্কিত রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। যৌনাঙ্গের প্রদর্শন কিংবা প্যান্টের জিপ খুলে রাখা কোন যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না, সরাসরি জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট।
এমনকি, নিগৃহিতার হাত জোর করে ধরে রাখলে, তাও নাকি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়ছে না, এমন সব রায় দিলেন নাগপুর বেঞ্চার বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা (Pushpa Ganediwala)। নাবালিকার যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রে বিতর্কিত রায় ঘোষণা করার পর এবার যৌনাঙ্গের প্রদর্শন এবং প্যান্টের জিপ খুলে রাখা নিয়েও বিতর্কিত রায় ঘোষণা করল বম্বে হাইকোর্ট।
নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে কদিন আগেই এক অদ্ভুত রায় দিয়েছিলেন নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা। পকসোর-র ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি বলেছিলেন, ‘কোন নাবালিকার ক্ষেত্রে জামা কাপড় না খুলে যদি তাঁর স্তন বা যৌনাঙ্গে স্পর্শ করা হয়, সেক্ষেত্রে ঘটনাটি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে না। অর্থাৎ যৌন নিগ্রহ প্রমাণের ক্ষেত্রে শারীরিক সংস্পর্শের প্রমাণ দিতে হবে’।
এই রায় ঘোষণার পর আরও একটি রায় দিলেন বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা। বছর ৫০-এর ব্যক্তি এক শিশু কন্যাকে জোর করে ধরে তাঁর সামনে প্যান্টের চেন খুলে নিজের যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন। অভিযুক্তকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনায় সেশন কোর্ট।
কিন্তু এই ঘটনার বিচারে বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা বলেন, ‘যৌনাঙ্গের প্রদর্শন কিংবা প্যান্টের চেন খুলে রাখা কোন যৌন নির্যাতনের আয়ত্তায় পড়ে না। এখানে স্কিন টু স্কিন কনট্যাক্ট হয়নি, তাই এটাকে যৌন নিগ্রহ বলা যায় না। অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারা মোতাবেক ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পকসো আইনে এটি যৌন নির্যাতন নয়’।