বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (india)-চীন (china) উত্তেজনার মাঝে এক বড় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রতিদিনই কোন না কোন নতুন বিষয় প্রকাশ্যে আসছে ভারত-চীন সংঘর্ষের বিষয়ে। আগে ভারতের প্রতিবেশী শত্রু দেশ ছিল পাকিস্তান। আর এখন সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে জিনপিং-র দেশ চীন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘গত বছর পূর্ব লাদাখের ঘটনা ভারত এবং চীনের মধ্যেকার সম্পর্কের মাঝে এক গম্ভীররতা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের দিক থেকে নমনীয়তার প্রকাশ না পাওয়া অবধি সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। ২০২০ সালের এই ঘটনা, আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে আরও বড় ফাটলের সৃষ্টি করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তা অবশ্যই বাস্তবে মেনে চলা উচিত এবং তার সম্মানও করা উচিত’।
বিদেশমন্ত্রীর কথায় একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ঠান্ডা করার কোন একতরফা প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সীমান্তে সেনাবল সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই নয়, শান্তি ভঙ্গেরও ইচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছে চীন।
পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখায় বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতীয় এবং চাইনিজ সেনাবাহিনীর মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরের বৈঠকের পরও, পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র স্বাভাবিকের দিকে এগোয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনকে শায়েস্তা করতে বেশ কয়েকটি চীনা অ্যাপ সম্পূর্ণরূপে ভারতে ব্যান করে দেয় ভারত সরকার।
এই সকল ৫৯ টি কোম্পানির দেওয়া প্রতিশ্রুতির উপর সন্তুষ্ট নয় ভারত সরকার। সেই কারণে ব্যান করার নোটিও জারি করে দিয়েছে। যার ফলে বড় সংকটে পড়েছে চীন সরকার।