বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পর ভাটিন্ডার বিক্র খুর্দ গ্রামের পঞ্চায়েত একটি বড় ফরমান জারি করল। পঞ্চায়েতে একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিটি বাড়ির একজন সদস্যকে ৭ দিনের জন্য দিল্লীর ধরনায় যোগ দিতে হবে। যদি পঞ্চায়েতের আদেশ অমান্য করা হয় তাহলে তাঁদের জরিমানা হিসেবে দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। এছাড়াও গ্রামে তাঁদের একঘরে করারও নিদান জারি হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এও বলা হয়েছে যে, দিল্লীতে যদি কোনও বাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেটির দায় নেবে গোটা গ্রাম। এই প্রস্তাব গ্রাম পঞ্চায়েতের লেটার প্যাডে লিখে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও লুধিয়ানার সমরালা তহসীলের মুস্কাবাদ গ্রামেও একই রকমের ঘোষণা হয়েছে। পঞ্চায়েত জানিয়েছে যে, গ্রামের ২০ জনের একটি দলকে দিল্লীতে পাঠানো হবে আর চারদিন পর তাঁরা ফিরে আসবে। এরপর আরেকটি দল দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। দিল্লীতে যাওয়া আসার এই প্রক্রিয়া জারি থাকবে। তাঁরা জানিয়েছে যে, আন্দোলনকে দমাতে সরকারের পদক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।
উল্লেখ্য, দিল্লী পুলিশ রাজধানীতে গণতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেডের সময় লাল কেল্লায় হওয়া হাঙ্গামা আর ধার্মিক ঝাণ্ডা তোলার পর কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত, যোগেন্দ্র যাদব, রাজিন্দর সিং, মেধা পাটেকর, বুটা সিং, দর্শন পাল আর বলবীর সিং রাজেবাল সমেত ৩৭ জনের বিরুদ্ধে সময়পুর থানায় FIR দায়ের করেছে।
দিল্লী হিংসার পর কৃষক আন্দোলন তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। স্থানীয় মানুষ সিঙ্ঘু বর্ডারে গিয়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে আর আন্দোলন শেষ করে রাস্তা খালি করার দাবি তুলছে। শুধু তাই নয়, গণতন্ত্র দিবসের দিনে কৃষকদের দ্বারা জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগও করা হচ্ছে। আজ এই নিয়ে কৃষক আর স্থানীয়দের মধ্যে চরম বচসা বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা