বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাল কেল্লায় হওয়া হিংসায় অভিযুক্ত কৃষক নেতা সুখদেব সিং আরেক অভিযুক্ত যুগরাজকে ধার্মিক ঝাণ্ডা তোলা আর ভাঙচুর করার জন্য বলেছিল। পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু আর যুগরাজ সিংয়ের সাথে সুখদেবের লাল কেল্লায় স্বাক্ষাৎ হয়েছিল। যুগরাজ সেবাদর হিসেবে কাজ করে আর সে গুরুদ্বারায় ঝাণ্ডা তোলার জন্য প্রায় দিনই খাম্বায় চড়ে। অভ্যাস থাকার কারণেই সে লাল কেল্লার খাম্বায় সহজেই চড়ে যায়। এই কথা ৫০ হাজারের ইনামি অভিযুক্ত সুখদেব গ্রেফতার হওয়া পর জানিয়েছে।
অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিক জানান, লাল কেল্লায় হিংসা হওয়ার পর করণালের বাসিন্দা সুখদেব সিং (৬৫) সিংঘু বর্ডারের ধরনা স্থলে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু দিল্লী পুলিশ সুখদেবকে সিংঘু বর্ডার থেকে গ্রেফতার করেনি। সুখদেব ৬ ফেব্রুয়ারি চাক্কা জ্যামে অংশ নিয়েছিল। এরপর সে তার কুরুক্ষেত্রর পাশে পিপলি গ্রামে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যায়। সে জানত যে পুলিশ তার উপর পুরস্কার ঘোষণা করেছে আর সে নিজের বাড়ি গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবেই। এরপর ৭ তারিখ সে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চণ্ডীগড় যায়।
সুখদেব চণ্ডীগড় হাইকোর্টে দিল্লীর সিংঘু বর্ডারের ধারণা স্থল থেকে বিদ্যুৎ আর জলের লাইন কেটে দেওয়ার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দাখিল করতে চেয়েছিল। হাইকোর্টে পৌঁছানোর আগেই দিল্লী পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নেয়। সুখদেব সিং লাল কেল্লায় উপদ্রবীদের নেতৃত্বে দিয়েছিল। আর ভাঙচুর করার জন্য তাদের উস্কেছিল। সুখদেব সিং বলেছিল যে, তাঁরা যদি ভাঙচুর না করে তাহলে সরকার মাথা নোয়াবে না।
সুখদেব সিং নিজেই স্বীকার করেছে যে, সে ২৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসের দিনে লাল কেল্লায় ভিড়ের নেতৃত্ব করেছিল আর ভাঙচুর করার এবং ঝাণ্ডা তোলার জন্য উস্কেছিল। সে নিজে যুগরাজকে ঝাণ্ডা তুলতে বলেছিল। সুখদেব সিং নিজের সঙ্গীদের নিয়ে সিংঘু বর্ডার থেকে লাল কেল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।