বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনা কল্পনা সত্যি করে অবশেষে কিছুদিন আগেই তৃণমূল (tmc) ছেড়ে বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এমন অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে আসন্ন ভোটে তিনি প্রার্থী হবেন কিনা। আর হলেও কোন জায়গা থেকে ভোটে দাঁড়াবেন রুদ্রনীল?
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা জানান, যদি দল থেকে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় তবে অবশ্যই তিনি ভোটে দাঁড়াবেন। আর দাঁড়ালে তাঁর ইচ্ছা নিজের জন্মস্থান হাওড়া থেকেই দাঁড়াবার। সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে হাওড়ার শিবপুর থেকে নকি ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি। রুদ্রনীল এই প্রসঙ্গে জানান তিনি হাওড়ার ছেলে বলেই এমন খবর চাউর হয়েছে।
তবে রুদ্রর সাফ কথা, পুরোটাই নির্ভর করছে দলের সিদ্ধান্তের উপর। কারণ বিজেপি কর্মী নির্ভর পার্টি। যদি দল তাঁকে ভরসা করে তাহলে হাওড়া থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। নাহলে যেমন জেলায় জেলায় কাজ করছেন তেমনি করবেন। রুদ্রনীলের কথায়, “ব্যক্তিগত ইচ্ছার স্থান দলীয় সিদ্ধান্তের অনেক পরে”।
পরক্ষণেই তৃণমূলকে খোঁচা মেরে অভিনেতা বলেন, তৃণমূলে কে দলীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ হবে তার উপরেই নির্ভর করে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট। সেখানে যোগ্য হলেও যদি দলীয় নেতৃত্বের মন মতো না হয় তাহলে সে খারাপ। কিন্তু কেউ খারাপ হলেও যদি দলীয় নেতৃত্ব তাকে ভাল বলে মনে করে তাহলে সবাইকে ভাল বলেই মানতে হয়।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরে টলিউড তথা রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে ছিল রুদ্রনীলের বিজেপি যোগদানের গুঞ্জন নিয়ে। বেশ কয়েকবার অভিনেতা নিজেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে।
এর আগেই রুদ্রনীল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন তিনিও সেখানেই যাবেন। দুজনের সখ্যতার কথা কারোরই অজানা নয়। টলিউডের এক অভিনেতার পার্টিতেও একত্রে দেখা যায় রুদ্রনীল, রাজীব ও শুভেন্দু অধিকারীকে। জল্পনা তুঙ্গে তুলে নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন রুদ্রনীল। অবশেষে দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মানুষ একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর সেলফি পোস্ট করা নিয়ে চরম ট্রোলড হতে হয়েছিল রুদ্রনীলকে। কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। কারণ রুদ্রনীলের মতে, এসবই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সব মিটে গেলেই সবার কাছে ফের তিনি একজন অভিনেতা।