বিশেষ এই উপায়ে স্মরণ করুন হনুমানভক্ত শনিকে, সুদিন ফিরবে জীবনে

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মানুষের জীবনে যখন কোন খারাপ মুহুর্ত আসে, তখন বলা হয় তার উপর শনির (Shani) দৃষ্টি পড়েছে। তাই তার জীবনে কোন উন্নতি হচ্ছে না। শনির দৃষ্টি একবার কারোর উপর পড়লে, তা সহজে ছেড়ে যায় না। তাই শনি দেবকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য প্রতি শনিবার করে বারের পূজো করা হয়।

হিন্দু মহিলারা শনিবার উপোষ রেখে শনিদেবতার পূজো করেন। সংসারের মঙ্গল কামনায়, পরিবারের সকলের সুস্থ এবং বিপদ মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করেন। শনিদেবকে অশুভ বলা হলেও, এই কথা ভুল যে শনি দেব দুর্ভাগ্যের দেবতা। সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা হলেন শনিদেব। শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা। তিনি সূর্যদেব এবং মাতা সংজ্ঞার পুত্র এবং কন্যা যমদেব ও যমুনা দেবীর অনুজ ভ্রাতা।

Follow this special rule on Saturday to save yourself from the wrath of Shani dev

অন্যান্য দেব দেবীর মতো শনিদেবের কিন্তু একজন বাহন রয়েছেন। যার পিঠে চড়ে তিনি দেবলোকের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। শনিদেবের বাহন কাক, তাঁর এক বন্ধুর মতই ছিলেন। শনিদেব আবার হনুমানজির খুব বড় ভক্ত। তাই যদি হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করা যায়, তাহলে শনি দেবের অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

আবার, বাদর যেহেতু হনুমানজির রূপ, তাই প্রতি শনিবার ভিজানো অথবা ভাজা দেশি চানা বাঁদরকে খেতে দিলে, আপনার উপর থেকে শনি দেবের কুপ্রভাব দূর হবে। আবার, আটা চেলে পরিস্কার না করেই, সেই আটা দিয়ে দুটোমাত্র রুটি বানিয়ে, তাতে একটু সরষের তেল লাগাতে হবে। তারপর সেই রুটির একটা গোরু আর একটা কুকুরকে প্রতিদিন খাওয়াতে হবে। তাহলেও এই শনি দেবের কুদৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায়া যায়।

শনি, মঙ্গলবার করে পাঠ করতে হবে হনুমান চল্লিশাও। অথবা, ঘোড়ার ক্ষুরের আংটি কিনে শনিবার স্নানের পর প্রথমে কাঁচা দুধ, পরে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে, তারপর শনিদেবকে প্রণাম করে ওই আংটি ডানহাতের মধ্যমায় ধারণ করতে হবে। তাহলেও আপনি কিছুটা হলে সুরক্ষিত থাকবেন।

X