বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের দিগগজ কেন্দ্রীয় নেতাদের বারবার রাজ্যে পাঠিয়ে একুশের নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতা দখলে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বাংলা দখলের প্রচেষ্টায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বড়বড় নেতা, বিধায়ক আর মন্ত্রীদের ইস্তফা নিয়ে একদিকে যখন জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। তখন আরেকদিকে, দলের সুপ্রিমোর কর্মীসভায় খোঁজ মিলল না তৃণমূলের দুই সাংসদ আর তিন বিধায়কের। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলে দলের পাঁচ হেভিওয়েট বিধায়ক, সাংসদ। এবার এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। যদিও, বিজেপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, তাঁরা এখন তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদদের আর দলে নেবে না।
তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী আর প্রতিমা মণ্ডল সমেত বিধায়ক জীবন মুখার্জি, দেবশ্রী রায় আর মন্টুরাম পাখিরা বৃহস্পতিবার তৃণমূল সুপ্রিমোর কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও মিমি চক্রবর্তী এখন গোয়ায় আছেন, তাই ওনার এই কর্মীসভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু চারজন রাজ্যেই আছেন। আর জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে যে, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের কোনও আত্মীয় প্রয়াত হয়েছে তাই তিনি আসতে পারেন নি। আর বিধায়ক জীবন মুখার্জি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেন নি।
কিন্তু অনুপস্থিত নেতাদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছেন দেবশ্রী রায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই দলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। একদিকে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের ভোটারদের মন পাওয়ার জন্য যখন বাড়িতে তারকা অথবা তারকাদের দিয়ে প্রচার করাতে চাইছেন, তখন আরেকদিকে দেবশ্রী রায়ের মতো তারকা বিধায়কদের অনুপস্থিতি দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব দেবশ্রী রায়কে গতকাল অনুপস্থিত থাকার কারণ জানাতে বলেছে।
বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া রদ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে, আমরা চাইনা কেউ আমাদের তৃণমূলের বি-টিম বলে ডাকুক। আমরা এখন আর তৃণমূলের নেতাদের বিজেপিতে নেব না। বিশেষ করে যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁকে তো একদমই না। আর এই কারণে আমরা এখন বড় নেতাদের দলের সদস্যতা দিচ্ছি না। তিনি জানিয়ে দেন, এবার সবদিক ভেবেই নেতাদের বিজেপির সদস্যতা দেওয়া হবে।