বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিলেন অভিনেত্রী তথা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (election) তৃণমূলের (tmc) প্রার্থী লাভলি মৈত্র (lovely moitra)। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার থেকেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে নেমে পড়লেন লাভলি।
এদিন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রথমে স্থানীয় বিপত্তারিণী মন্দিরে পুজো দেন অভিনেত্রী। তারপর দলের কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। লাভলি বলেন, তিনি ঘরের মেয়ে। এতদিন টিভির পর্দায় দেখা যেত তাঁকে। এবার তিনি সামনাসামনি সবার জন্য কাজ করবেন।
লাভলি আরো বলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক। তৃণমূলের যে ২৯৪টি আসন, সব আসনের প্রার্থী একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা আলাদা আলাদা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু আসলে সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোটটা দেবেন।
অভিনেত্রী এদিন বলেন, বিজেপি বাংলার মহিলাদের অসম্মান করেছে। শিল্পীদের অসম্মান করেছে। তার প্রতিবাদেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন। পাশাপাশি যে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা বিজেপিতে গিয়েছেন তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি লাভলি।
প্রসঙ্গত, লাভলি হলেন হাওড়া গ্রামীণের পুলিস সুপার সৌম্য রায়ের স্ত্রী। আর এখানেই বিজেপির যত আপত্তি। আইনের দোহাই দিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যের আইপিএস অফিসারের স্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না। আগেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দেয় বিজেপি।
সপাটে উত্তর দিয়েছেন লাভলি। তাঁর বক্তব্য, পুলিস সুপারের স্ত্রী হওয়া ছাড়াও তাঁর আরো একটি পরিচয় রয়েছে। প্রত্যেক মেয়েরই নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। আর বিজেপি সেটাই মুছে দিতে চাইছে। অভিনেত্রীর বক্তব্যকে সমর্থনও জানিয়েছে মানুষ।
কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হয়নি। হাওড়া গ্রামীণের পুলগস সুপারের পদ থেকে লাভলির স্বামীকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় অভিনেত্রী কটাক্ষ হেনেছেন গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে। বিজেপি এত ভয় কেন পাচ্ছে বলে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তিনি। তবে যে যাই করুক না কেন তিনি যে জয়ী হবেনই সে বিষয়ে নিশ্চিত লাভলি।