আর FREE নয়! YouTube থেকে আয় করতে গেলে এবার গুনতে হবে টাকা

গোটা বিশ্বের আট থেকে আশির কাছে নিজেদের প্রতিভা-গুনকে প্রকাশ করে ইউটিউব এখন আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে এতদিন পর্যন্ত, যারা ইউটিউবে ভিডিও করে আসছেন, তাদেরকে কোনও টাকা ব্যয় করতে হত না। সেদিন এবার শেষ হতে চলেছে, তাদেরকে এবার থেকে গুনতে হবে ট্যাক্স। এমনই নির্দেশিকা জারি করল ইউটিউব।

তবে বিশ্বের সবদেশের ইউটিউবার দেরকে এই নির্দশিকায় আওতায় ফেলা হলেও, বাদ দেওয়া হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। অর্থাৎ আমেরিকার বাইরের ইউটিউব নির্মাতাদের কাছ থেকেই ট্যাক্স আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। ফলস্বরূপ আপনি যদি ভারতের ইউটিউবার হন, তবে আপনাকেও এবার থেকে দিতে হবে শুল্ক। তবে স্বস্তির খবর হল আমেরিকান দর্শকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামতের জন্য আপনাকে কেবল ট্যাক্স দিতে হবে।

সহজ কথায়, যদি আপনি ভারতের ইউটিউবার হন এবং কেউ আমেরিকাতে আপনার ভিডিওটি দেখছেন,তা থেকে আপনার উপার্জনের জন্য আপনাকে ইউটিউবকে ট্যাক্স দিতে হবে। ইউটিউবের নতুন এই ট্যাক্স নীতি ২০২১ জুন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে। সংস্থার তরফে নতুন নিয়মটি সম্পর্কে একটি ভিডিও তৈরি করেছে এবং যা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে ইতিমধ্যেই শেয়ার করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় ইউটিউব ভিডিও নির্মাতাদের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে করের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনি যদি ৩১ মে ২০২১ সালের মধ্যে আপনার করের তথ্য না দেন তবে সংস্থাটি আপনার মোট আয়ের ২৪ শতাংশ কেটে নেবে।

images 15 5

এই ইউটিউব বিধি বিভিন্ন দেশে আলাদা। আপনার দেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের যে চুক্তি রয়েছে তার উপরে করের বিধি নির্ভর করবে। ভারতের ক্ষেত্রে, আপনি যদি করের তথ্য দেন এবং একটি কর চুক্তির দাবি করেন, তাহলে আমেরিকান দর্শকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামতের উপর আপনার কর ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। অন্যদিকে, কোনও স্রষ্টা যদি ট্যাক্স সম্পর্কিত তথ্য দেয় এবং আমেরিকার সাথে ট্যাক্স চুক্তি না করে, তবে আমেরিকান দর্শকদের কাছ থেকে আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর আদায় করা হবে।

ইউটিউবের কর আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেক নির্মাতা। নির্মাতারা বলছেন যে, সংস্থাটি আগে থেকেই আয়ের একটি অংশ নিচ্ছে, তাই কেন আবার আলাদাভাবে কর দিতে হবে? ইউটিউবের এই সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র নির্মাতাদের ক্ষতি করতে পারে বলে তাদের মতামত।

সম্পর্কিত খবর