বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে জোর কদমে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে শাসক বিরোধী সমস্ত দলগুলোই। একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেমন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত নির্বাচনী প্রচারে ছুটে বেরাচ্ছেন। তেমনই রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা একের পর এক সভা করে তৃণমূলকে উৎখাত করতে লেগে পড়েছে। বিশেষ করে বিজেপির তরফ থেকে এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য কোমর বেঁধে নির্বাচনী প্রচার চালানো হচ্ছে।
যদিও, বিজেপি ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখা বিজেপি এখনও পর্যন্ত ১২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় আর চতুর্থ দফার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নেতাদের মধ্যে বিক্ষোভের সুর দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি আরও কয়েকজন নেতাও দল ছেড়েছেন। এছাড়াও দিন সাতেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যে প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাও দলের কর্মসূচিতে ডাক না পেয়ে অভিমানে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন বলেছেন।
তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকায় আমতা আসন থেকে হিন্দু সংহতির প্রধান দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিছুদিন আগে হিন্দু সংহতি নিজেদের নতুন দল করার ঘোষণা করেছিল। ২০১৯ -এর নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল হিন্দু সংহতি। কিন্তু বিজেপি হিন্দুত্বের পথ থেকে সরে যাওয়ার অভিযোগ তুলে দেবতনু বাবু একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন না করে নিজেদের দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু বিজেপির তৃতীয় এবং চতুর্থ দফায় প্রার্থী ঘোষণার আগে নাটকীয় ভাবে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায় হিন্দু সংহতি। সংগঠনের প্রধান দেবতনুবাবু বলেন, তাঁরা নতুন দল না করে একুশের নির্বাচনেও বিজেপিকেই সমর্থন করবে। আর এরপর বিজেপির প্রার্থী তালিকায় উঠে আসে দেবতনু ভট্টাচার্যের নাম। বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পর দেবতনুবাবু একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে রংধনুকে রামধনু, আসমানীকে আকাশী আর আব্বাকে বাবা ডাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আমার মা। পশ্চিম বাংলাদেশ হবে না।”
তিনি আরেকটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে লেখেন, ‘স্বপ্ন দেখুন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন- * রংধনু আবার রামধনু হবে। * আসমানী আবার আকাশী হবে। * আব্বা আবার বাবা হবে। * অম্মা আবার মা হবে। * নাস্তা আবার জলখাবার হবে। * গোসল আবার স্নান হবে। * পানি আবার জল হবে। সুযোগ বারবার আসে না।” দেবতনু বাবুর স্পষ্ট ইঙ্গিত তিনি রাজ্যে ধর্মের নামি আরবি ভাষার প্রচার হতে দেবেন না।