বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়ায় (Khyber Pakhtunkhwa) মন্দিরে ভাঙচুর চালানো কট্টরপন্থীদের ক্ষমা করে দিল স্থানীয় হিন্দুরা। শতাব্দী প্রাচীন ওই মন্দিরে গত বছর কট্টরপন্থীরা ভাঙচুর চালানোর পর সেখানে আগুল লাগিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে কটূক্তির শিকার হতে হয়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan) দেশ পাকিস্তানকে। এমনকি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য সরকারকে ওই মন্দিরটি আবারও বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এবার হিন্দুরা দোষীদের ক্ষমতা করে সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি করার প্রয়াস করল।
এই মামলা নিষ্পত্তির জন্য শনিবার ধার্মিক নেতাদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মন্দির ভাঙার কাজে যুক্ত দোষীরা মন্দিরটি ভাঙার জন্য ক্ষমা চায়। আর মুসলিম ধর্মগুরুরা দেশের সংবিধান অনুযায়ী হিন্দুদের অধিকার আর তাঁদের সুরক্ষা প্রদান করার আশ্বাস দেয়। বৈঠকে দুই পক্ষ সহমত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে দোষীদের মুক্ত করার জন্য আবেদন করা হবে।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সংগঠন উলেমা-এ-ইসলাম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রান্তের করক জেলার টেরি গ্রামের মন্দিরে ভাঙচুর করে। এরপর মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় ওঁরা। স্থানীয় উলেমাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি রমেশ কুমার বলেন, এই ঘটনা গোটা বিশ্বের হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের বিধায়ক বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খানের নেতৃত্বে এই বৈঠকে হিন্দুরা সমস্ত দোষীদের ক্ষমা করে দিয়েছে।
বৈঠকে মেহমুদ খান মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা করে বলেন, এরকম ঘটনা খাইবার পাখতুনখোয়ার শান্তির জন্য বড় বিপদ। বলে দিই, এই মামলায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারত এই ঘটনায় তিব্দ্র নিন্দা জাহির করে পাকিস্তানের প্রতি নিজেদের বিরোধিতা জাহির করেছিল। এছাড়াও আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের সমালোচনা হয়েছিল এই ঘটনার পর। এরপর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারকে ওই মন্দিরটি পুনরায় বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।