বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও, বিজেপি (bjp) ধাপে ধাপে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। তালিকা প্রকাশ করতেই শুরু হচ্ছে ক্ষোভ বিক্ষোভের পালা। এইভাবে কিছুদিন চলার পর গতকাল ১৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল আলিপুরদুয়ার (alipurduar)।
বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, হোক বা দলীয় কোন্দল- এ আর এমন কিছু নতুন ঘটনা নয়। সেইসঙ্গে বর্তমানে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই দেখা যাছে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। হয় টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ, নাহলে কেন জনপ্রিয় পার্থী টিকিট পেলেন না- এইনিয়ে বিক্ষোভ।
দিল্লীর দফতর থেকে বৃহস্পতিবার বিজেপির ১৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাহাড়। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীরা। দফায় দফায় ঝামেলা হয় জলপাইগুড়ি জেলা সদর ও মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তেজিত বিজেপি সদস্যরা ছিঁড়ে দেয় নরেন্দ্র মোদী, দিলীপ ঘোষের ফ্লেক্স। জলপাইগুড়ির জেলা পার্টি অফিসের ভেতরের টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়েও দেওয়া হয়।
ঘটনাটা হল, প্রার্থীর নাম ঘোষণার সময় বলা হয়- আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়বেন ভারত সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ী। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। ‘বহিরাগত’ অশোক লাহিড়ী কিছুতেই পাহাড়ে লড়াই করতে দিতে নারাজ বিজেপি সদস্যরা।
রাজ্যের হবু অর্থমন্ত্রী হিসেবে অশোক লাহিড়ীর কথা চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি। সেই কারণে তাঁকে কোন একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে হবে। তবে সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ায় পরবর্তীতে অশোক লাহিড়ীকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে স্থানীয় নেতা সুমন কাঞ্জিলালের নাম ঘোষণা করা হয়। অশোক লাহিড়ীকে এবার হত অন্য কোন আসনের টিকিট দেওয়া হবে।