আমরা ৩০% মুসলিম এক হয়ে ৪টি পাকিস্তান তৈরি করতে পারিঃ তৃণমূল নেতা শেখ আলমের ভাইরাল ভিডিও

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে নির্বাচন চলছে আর পাকিস্তানের নাম আসবে না এটা হতে পারে? আর পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হলে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দুই দেশেরই নাম বরাবর উঠে আসে। ২০১৬ সালে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে আসুন। আপনাকে নিয়ে যাই কলকাতার মিনি পাকিস্তানে।” তিনি কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বলেই আখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। ওনার এই মন্তব্যের পর চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।

tmc is an ocean, one leader leave froam that has no effect: Firhad Hakim

এছাড়াও বিজেপি বরাবরই অভিযোগ করে আসে যে, তৃণমূল রাজ্যকে বাংলাদেশ বানাতে চাইছে। গত মঙ্গলবার বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের একটি জনসভা থেকে বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের সব কিছুই বাংলাদেশের থেকে নেওয়া। খালেদা জিয়ার মা মাটি মানুষ স্লোগান ধার করেছে তৃণমূল। মুজুবুর রহমানের জয় বাংলা স্লোগান ধার করেছে তৃণমূল। এমনকি তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানও বাংলাদেশ থেকে ধার করা।”

এছাড়াও সেদিন শুভেন্দুবাবু বলেছিলেন, ‘তৃণমূল বাংলায় আবারও ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানিয়ে ছাড়বে। ওঁরা কাউকে ধুতি-গামছা পরতে দেবে না। কারোর মাথায় তিলক কাটতে দেবে না।” শুধু শুভেন্দু অধিকারীই না, বিজেপির সব নেতাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান বানানোর অভিযোগ তুলে এসেছে। বিজেপির তরফ থেকে এও বলা হয়ে থাকে যে, তৃণমূলের কারণেই রাজ্যে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজেপির এই অভিযোগের মাঝে এক তৃণমূল নেতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ওই ভিডিওতে তৃণমূল নেতাকে মুসলিমদের এক হয়ে পাকিস্তান বানানোর ডাক দিতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপির নেতা অমিত মালব্য নিজের টুইটারে ওই বিতর্কিত ভিডিও পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কি এমন বাংলা চাইছি?”

অমিত মালব্য লেখেন, ‘বীরভূমের নানুরের তৃণমূল নেতা শেখ আলম গতকাল বলেছেন, আমরা ৩০ শতাংশ মুসলিমরা যদি এক হয়ে যাই, তাহলে চারটি পাকিস্তান বানাতে পারব। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিজের অনুগত্য স্পষ্ট করছেন। এবার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন?” শেষে তিনি লেখেন, আমরা কি এই বাংলায় চেয়েছিলাম?

তৃণমূল নেতা শেখ আলমের এই বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আগে বিজেপি তৃণমূলকে বিদ্ধ করার জন্য আরও একটি হাতিয়ার পেয়ে গেল।

X